দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় ওষুধ খেয়েও স্পন্ডিলাইটিস-এর ব্যথা কমে না। স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে শুধু ওষুধ খেলেই কিন্তু চলবে না। দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন। তাহলে পেতে পারেন স্বস্থি।
একাধারে সারাদিন অফিসে বসে কাজ করেন। নিজের ডেস্ক ছেড়ে ওঠার উপায়ও থাকে না। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে একটানা কাজ করার কারণে মাথা ঘোরালেই তীব্র ব্যথা-যন্ত্রণাও হয়ে থাকে। টনটন করে ওঠে পিঠ ও কাঁধ। অনেক সময় এই ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এই লক্ষণগুলোকে পাত্তাই দেন না। সে কারণে বিপদ আরও বাড়ে। আসলে এই উপসর্গগুলো হলো ‘স্পন্ডিলাইটিস’-এর। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেক সময় আবার মাথা ঘোরে। ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে শুধু ওষুধ খেলে চলবে না। দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন। তাহলে পেতে পারেন স্বস্থি।
# স্পন্ডিলাইটিস-এ ভুগলে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে হবে। শরীরচর্চা করলে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামও রয়েছে। সেগুলো করতে হবে। বিশেষ করে একটি হলো স্ট্রেচিং। তা ছাড়াও বিভিন্ন যোগাসনও করতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
# আপনাকে ঘাড় নিচু করে বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতে হবে। কারণ এই অভ্যাস থেকেই মূলত এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অফিসে সারাক্ষণ বসে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই। সেই ক্ষেত্রে মাঝে-মধ্যে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। আবার ঘা়ড়ের ব্যায়াম করতে হবে।
# শীতকালে ছাড়াও স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত সব সময় গরমপানিতে গোসল করলে উপকার পাবেন। এতে ব্যথা কিছুটা হলেও কমে আসবে। এছাড়াও যেখানে ব্যথা গরম পানি, ঠাণ্ডা পানির সেঁকও দিতে পারেন। মাঝে-মধ্যেটিএি করলে ব্যথায় উপশম পেতে পারেন।
# স্পন্ডিলাইটিস থাকলে কীভাবে আপনি ঘুমোচ্ছেন সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইক্ষেত্রে উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। বালিশ ব্যবহার না করলেই ভালো হয়। তবে সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org