দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএলআই) সহায়তায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে টিইএসওএল (টেসল) সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
‘টেসল ইন ট্রানজিশন: ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন (ফোরআইআর) অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন ৯-১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিশশা এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন আইবেলি।
সম্মেলনে মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বখ্যাত ৩ জন বিশেষজ্ঞ: ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারিকের অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকস অ্যান্ড ইএলটি’র অধ্যাপক ড. রিচার্ড স্মিথ, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া্র ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. স্টিফেন ক্রাশেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাইডার ইউনিভার্সিটির ইএসএল অ্যান্ড বাইলিঙ্গুয়াল এডুকেশনের ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের অধ্যাপক এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্পেশালিস্ট-২০২৪ ড. মারিয়া ভিয়ালোবোস-বুয়েখনা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, এমপি বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিক বিবর্তন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সুযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে প্রস্তুত করে তোলার ক্ষেত্রে ভাষা শিক্ষাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্যেই প্রতীয়মান।”
সম্মেলনে দেশের ইএলটি বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে প্লিনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ.এম.এম. হামিদুর রহমান এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির ডিন (এফএএসএস) ও চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. এম. শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচলায় সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংরেজি ভাষার সাবেক অধ্যাপক ড. আরিফা রহমান এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের পরিচালক ড. শায়লা সুলতানা। সম্মেলনে গবেষকরা গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে টেসল বিডি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদুর রহমান বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকাসহ মর্যাদাপূর্ণ অন্যান্য অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সহাতায় প্রথম এমন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা টেসল নিয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত, যেখানে দেশ এবং দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে ভাষা শিক্ষা ও শেখানোর ক্ষেত্রে ফোরআইআর’র প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।”
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিশশা বলেন, “সারা বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষে ২য় টেসল বিডি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৪- এর আয়োজনে বাংলাদেশের টেসোল সোসাইটির সাথে একসাথে কাজ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল । সম্মেলনটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো গ্রহণ করতে ইংরেজি শিক্ষকদের পরামর্শ দান এবং ক্রমাগত কর্মদক্ষতা বিকাশের উপর গুরুত্বআরপ করে।”
সময়োপযোগী এই সম্মেলনটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ভাষা শিক্ষার পরিবর্তনশীল ক্ষেত্রে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সম্যক ধারণা প্রদান করে। সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষক এবং গবেষক ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও ফলিত ভাষাতত্ত্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org