দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিনির সঙ্গে আড়ি হলেও, দুধকে সুস্বাদু করে তুলতে পারে কয়েকটি খাবার। দুধের সঙ্গে সেগুলো মিশিয়ে নিলে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যত্ন একসঙ্গে নেওয়া যাবে।
দুধ খেলে শারীরিকভাবে ভালো থাকা যায়। কারণ হলো দুধ যত্ন নিতে পারে শরীরের। হাড় থেকে দাঁত- দুধের গুণে শরীরের অন্দরের অনেক সমস্যা চিরদিনের জন্য দূরে চলে যায়। বয়সের চাকা যতোই সামনের দিকে এগোতে থাকে, ততোই হাড় দুর্বল এবং কমজোরি হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য প্রত্যাহ খাওয়া-দাওয়ায় রাখতে হবে দুধ। দুধে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়, পেশির যত্নও নেয়। তবে দুধ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। তার একটিই কারণ, দুধের আসলে আলাদা কোনও আহামরি স্বাদ হয় না। চিনি মিশিয়ে নিলে একটু মিষ্টি মিষ্টি হলে তখন ভালো লাগে। তবে চিনি আবার শরীরের বন্ধু নয়- শত্রু। তবে চিনির সঙ্গে আড়ি হলেও, দুধ সুস্বাদু করে তুলতে পারে কয়েকটি খাবার। দুধের সঙ্গে সেগুলো মিশিয়ে নিলে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যত্ন একসঙ্গে নেওয়া যাবে।
মধু
চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্পই হলো এই মধু। এক কাপ দুধে যদি এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে স্বাদ হবে অতুলনীয়। এছাড়াও দুধের সঙ্গে মধু খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ হলো মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান। এটি সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়।
দারচিনি
আবার আপনি দুধের সঙ্গে একটু দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। দারচিনি মেশালে খেতে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগবে। এছাড়াও দারচিনিতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, প্রদাহজনিত সমস্যারও ঝুঁকি কমায়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে এই দারচিনিতে। যে কারণে, এই দারচিনি ভিতর থেকে সতেজ থাকতে সাহায্য করে থাকে।
ডার্ক চকোলেট
আপনার ফ্রিজে হয়তো গুচ্ছের ডার্ক চকোলেট পড়ে রয়েছে, তবে কিছুতেই আপনার খাওয়া হচ্ছে না? তা হলে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এটি। অনেকটা মিল্ক শেকের মতো খেতে লাগবে। ডার্ক চকোলেট এমনিতেও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডার্ক চকোলেট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে থাকে।
হলুদ
অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার। তবে শুধু দুধ খাওয়ার সময় দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চিমটে হলুদ। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানটি, শরীরে রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় এটি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org