দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক্সিলেন্ট টাইলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি।
এই চুক্তির মাধ্যমে শিল্পখাতে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। এক্সিলেন্ট টাইলস ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ দিবে এনার্জিপ্যাকের স্টিলপ্যাক।
এই উপলক্ষে এনার্জি সেন্টারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় এনার্জিপ্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ; চীফ বিজনেস অফিসার আলোময় বিশ্বাস; চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মো. আমিনুর রহমান খান এবং চীফ সাপ্লাই চেইন অফিসার শাহেদ লতিফ। এছাড়া, এক্সিলেন্ট টাইলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হাকিম সুমন; সিনিয়র ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া এবং সিনিয়র ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) রাশেদ আল আমিন খালেদ।
এক্সিলেন্ট টাইলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সম্প্রতি ১,৭৩,৫০০ বর্গফুট জায়গায় নিজেদের কারখানা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, কারখানা সম্প্রসারণে কাজ করবে স্টিলপ্যাক। ইস্পাত কাঠামো নির্মাণে প্রয়োজনীয় সকল সমাধান প্রদান করবে এনার্জিপ্যাকের এই ব্র্যান্ডটি। এই বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “এক্সিলেন্ট টাইলস এর কারখানা সম্প্রসারণের জন্য আমাদেরকে বেঁছে নেওয়ায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা উচ্ছ্বসিত বোধ করছি। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা নির্মাণে এই খাতের সেরা সমাধান নিশ্চিত করবে স্টিলপ্যাক। এই নতুন কারখানা স্যানিটারিওয়্যার প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
উল্লেখ্য যে, স্টিলপ্যাক প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং (ইস্পাত কাঠামো) নির্মাণে প্রয়োজনীয় সকল সল্যুশনস (সমাধান) প্রদান করে থাকে। স্টিলপ্যাক ইস্পাত-কাঠামো নির্মাণকারী এবং প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্টিল স্ট্রাকচারাল বিল্ডিংয়ের জন্য সমাধান (সল্যুশনস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org