দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রয়াত কিংবদন্তী নির্মাতা, প্রযোজক আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল এবং সোহেল আরমান নির্মাণ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেই জড়িত। মূলত বাবার পথ ধরেই তারা মিডিয়ায় আসেন। দুজনেই পরিচালনায় ব্যস্ত।
দীর্ঘ ১৫ বছরের বিরতি শেষে ২০২২ সালে ‘মুসা’ ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে ফেরেন নির্মাতা, লেখক এবং অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তারপর আর তাকে অভিনয়ে দেখাই যায়নি। অপরদিকে প্রায় তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন সোহেল আরমান। একাধারে তিনি একজন নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার এবং পরিচালক। বাকি কাজগুলো পর্দার পেছনের হলেও অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে এসেও পরিচিতি পান তিনি। তবে দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়ে ছিলেন না তিনি। অবশেষে এই অভিনেতা পর্দায় ফিরছেন।
প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দোদুল-আরমান দুই ভাই অভিনয় করেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জন্য নির্মিতব্য ধারাবাহিকটির নাম হলো ‘বোকা প্রেম’। কমেডি ঘরানার নাটকটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। এই নাটকের মাধ্যমে বড় ভাইয়ের পরিচালনা প্রথমবারের মতো কাজ করছেন ছোট ভাই সোহেল আরমান।
দুই ভাই একসঙ্গে অভিনয় সম্পর্কে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, সোহেল আরমান ভালো একজন অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনাও করছেন। তারমধ্যে অভিনয়ের প্রতিভা রয়েছে। তবে সেটি বিফলে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিভা শেষ হয়ে যাবে সেটি তো মেনে নেওয়া যায় না। বড় ভাই হিসেবে আমার তো একটা দায়িত্বও রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের সবাইকেই আমি গাইড করছি। আমি ওকে বরাবরই অভিনয়ে নিয়মিত হতে আগ্রহী করছি। এছাড়াও অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে দুই ভাই একসঙ্গে কাজ করবো। তাই এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথমবার দু’জনে পর্দা ভাগ করছি। দু’জনেই প্রেমিক চরিত্রে পর্দায় হাজিরও হচ্ছি। আমাদের চরিত্রে চমকও রয়েছে। বাকিটা জানতে হলে আপনাকে নাটকটি দেখতে হবে।
‘বোকা প্রেম’ ধারাবাহিকে আরও অভিনয় করেছেন- আখম হাসান, ফারজানা ছবি, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীর, সাব্বির আহমেদ, এলেন শুভ্র, ইমু শিকদার, ইমতু রাতিশ, লাবণ্য লিজা, সিয়াম মৃধা, সামিয়া আক্তার, বিটলু শামীম, কাজী মিথিলা মুন প্রমুখ।
নির্মাতা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহ থেকে পূবাইলে ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু। একটানা চলবে দৃশ্য ধারণের কাজ। ঈদুল ফিতরের পর নাটকটি প্রচারে আসবে বলেও জানান তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org