দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে অন্যতম। বাজারঘাট থেকে শুরু করে যাতায়াত সব ক্ষেত্রেই আমাদের সঙ্গী এই স্মার্টফোন। ছবি, ভিডিও বা বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতেও ব্যবহার হচ্ছে এই স্মার্টফোন।
নানা তথ্য জমতে জমতে এক সময় ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যায়। যে কারণে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে থাকে। ফোনের স্টোরেজ খালি করলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইল না মুছেও কিভাবে ফোনের স্টোরেজ খালি করবেন সেটি আজ জেনে নিন।
স্মার্টফোনের ধারণক্ষমতা
প্রথমে স্টোরেজ খালি করতে ফোনে থাকা অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইলগুলো কতোটা জায়গা দখল করে রয়েছে সেটি জানুন। সেজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ঢুকে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে প্রবেশ করতে হবে। তারপর স্টোরেজ অপশন নির্বাচন করলে ফোনের ধারণক্ষমতার কতো অংশ ব্যবহার হচ্ছে সেটি জানা যাবে। তারপর অপ্রয়োজনীয় তথ্য কিংবা ফাইল মুছে ফেলুন।
গুগল ফটোজের ব্যবহার
আপনার স্মার্টফোনের জায়গা খালি করতে তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিওগুলো গুগল ফটোজ অ্যাপে সংরক্ষণ করে সেগুলো ফোন হতে মুছে ফেলুন। তারপর গুগল ফটোজ অ্যাপের মেনুতে প্রবেশ করে ফ্রি আপ স্পেস অপশনে ট্যাপ করতে হবে।
গুগল ফাইলস
আবার গুগল ফাইলস অ্যাপের মাধ্যমেও ফোনের জায়গা খালি করা যাবে। এটি করতে গুগল ফাইলস অ্যাপে প্রবেশ করে ‘ক্লিন’ অপশনে ট্যাপ করার পর জাংক ফাইল, বড় আকারের ফাইল এবং পুরনো স্ক্রিনশটগুলো মুছে ফেলতে হবে।
ক্যাশ মেমোরিগুলো মুছে ফেলা
আপনার স্মার্টফোনে থাকা অ্যাপের ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলেও বেশ অনেকটা জায়গা খালি করা যাবে। সেজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ট্যাপ করার পর অ্যাপস নির্বাচন করুন। তারপর অ্যাপ অপশনে ট্যাপ করার পর স্টোরেজ নির্বাচন করে ক্লিয়ার ক্যাশ করে নিতে হবে। আর এভাবেই আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজ খালি করতে পারেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org