দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদের আগের দিন থেকেই টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দর্শকরা দেখছেন ঈদের অনুষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে দর্শকের প্রথম পছন্দে হলো নাটক! এরইমধ্যে বাংলাদেশে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ কন্টেন্ট এর মধ্যে প্রথমটিই হলো নাটক! তবে দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে তুফানের আলোচিত গান ‘দুষ্টু কোকিল’!
অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশ হতে শীর্ষস্থানে রয়েছে কেমএম সোহাগ পরিচালিত নাটক ‘চাঁদের হাট’। সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি উন্মোচিত হয় ঈদের পর দিন। তারআগে ঈদের দিন নাটকটি দর্শকরা দেখেছেন চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা তৌসিফ-কেয়া পায়েল অভিনীত নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পরই তুমুল সাড়া ফেলে দেয়। ইতিমধ্যেই নাটকটি ৬ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে! ঠিক এর পরের স্থানেই রয়েছে ঈদে বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ এর অন্যতম একটি গান ‘দুষ্টু কোকিল’!
বাংলাদেশে ট্রেন্ডিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই গানটি ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ইউটিউবে মুক্তি পায় গত ২০ জুন সন্ধ্যায়। মাত্র দুই দিনের কম সময়ের মধ্যেই গানটি দেখা হয়েছে প্রায় ৫ মিলিয়ন! সেইসঙ্গে গানটিতে মন্তব্য করা হয় প্রায় ১০ হাজার!
ইতিপূর্বে ট্রেলারে অল্পকিছু অংশেই বাজিমাত করে ‘দুষ্টু কোকিল’! পুরো গানটি রিলিজে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। মোটামুটি অনুমেয়ই ছিলো, গানটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসবে! হয়েছেও তাই। আকাশ সেনের সুর, কথা এবং সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী কনা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org