দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অফিসে যাওয়ার নাম করে স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই তার পিছু নেন স্ত্রী। পুলিশকেও তিনি নিজের সঙ্গে নিয়ে যান। স্বামীর প্রেমিকার বাড়ির সামনে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর হয় এক লংকা কাণ্ড!
অফিসে যাওয়ার নাম করে মাঝে-মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন ওই তরুণ। তবে তার হাবভাব দেখে সন্দেহ করেছিলেন স্ত্রী। তাই স্বামীকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী। তার আগে পুলিশকেও ডেকে নেন তিনি। শেষ মেষ তরুণীর সন্দেহই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন তার স্বামী। স্বামীকে প্রেমিকার বাড়ির সামনে হাতেনাতে ধরেন তরুণী। পুলিশের সামনে তাকে চড়ও মারেন তার স্ত্রী।
তবে তরুণীর কাছে এমন হেনস্থার পর চুপ করে থাকেননি তার স্বামীও। পাল্টা জবাব দিতে তিনিও তার স্ত্রীর গালে চড় বসিয়ে দেন সবার সামনে। পুরো ঘটনাটি নেটমাধ্যমে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে ধরা পড়েছে। জনৈক এক ব্যক্তি তার এক্স হ্যান্ডলের পাতায় যে ভিডিওটি পোস্ট করেন তাতে দেখা যায় যে, এক তরুণ-তরুণী একে অপরকে কষে চড় মারছেন। ব্যক্তিটি জানান যে, ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাপুর এলাকার। ওই তরুণ-তরুণী প্রকৃতপক্ষে সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অফিস যাওয়ার নাম করে স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার পিছু নেন ওই তরুণী।
স্বামীকে অনুসরণ করে তরুণী দেখেন, অন্য এক মহিলার বাড়িতে গিয়েছেন তার জীবনসঙ্গী। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশ। সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন জনৈক তরুণী। তার পিছনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেই হেঁটে আসছেন এক তরুণ। ঠিক সেই সময় তরুণের গালে চড় বসিয়ে দিলেন তিনি। তরুণও চড়ের জবাব চড়ই মেরে দেন তার স্ত্রীকে। পরে স্বামীর দিকে রেগে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদের মধ্যে ঝামেলা থামানোর চেষ্টা করেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অবশ্য এক পর্যায়ে তরুণ স্বীকার করেন যে, তিনি পরকীয়া সম্পর্ক করেছেন। তিন বছর ধরে অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই তরুণ! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org