দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের সব সীমান্তেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে ইরানের রাশিয়া হতে কেনা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য।
অত্যাধুনিক এই রুশ সমরাস্ত্রের হামলা ঠেকানোর মতো কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইসরায়েলের এ পর্যন্ত নেই। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশটির সব সীমান্ত জুড়েই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র আনা উকোলোভা। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর সবগুলো ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা তাসের এক খবরে বলা হয়েছে, আইডিএফ মুখপাত্র উকোলোভা সামাজিক মাধ্যমের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির ১১ আগস্টের পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরান ও লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কার্যকলাপে গভীরভাবে মনোযোগ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার গুপ্তহত্যা ও বৈরুতে হিজবুল্লাহ শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার পর হতে ইরানের ভয়ংকর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কে রয়েছে ইসরায়েল। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান, হামাস ও হিজবুল্লাহ।
ইহুদিবাদী দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এক ফোনালাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে বড় রকমের সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে ইসরায়েলের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে সেখানে গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন জানিয়েছেন যে, একটি বিমানবাহী রণতরীও ওই অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছে ও অতি দ্রুতই সেটি গন্তব্যেও পৌঁছে যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org