দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নির্মাণ হয়েছে শর্ট ফিল্ম ‘রুম নম্বর ২০১১।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অভিনয় করেন। আগামী ৭ অক্টোবর আবরারের মৃত্যুবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আবরারকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের খবরটি প্রকাশ করেছে জিসু এন্টারটেইনমেন্ট পেজ। পেজে শর্ট ফিল্মটির একটি পোস্টারও প্রকাশ করা হয়।
পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, আসছে…‘রুম নম্বর ২০১১।’ সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত আমাদের এটি প্রথম মৌলিক কাজ। বাংলাদেশ ও আমেরিকায় একই সময় রিলিজ হবে। পেজ হতে ‘একটিফুল’কে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও পোস্টারে আবরারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জিসু এন্টারটেইনমেন্টের সিইও শেখ জিসান আহমেদ বলেছেন, হ্যাঁ, এটি আবরার ফাহাদের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ফিল্মটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ইচ্ছা রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর আবরারের মৃত্যুবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার।
তিনি বলেছেন, ২৫ মিনিটের হতে পারে এই সিনেমাটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবেও মুক্তি দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ও আমেরিকায় মুক্তি পাবে ‘রুম নম্বর ২০১১।’
এই সিনেমাটি নির্মাণের সহযোগিতার বিষয়ে জিসান বলেছেন, আমাদের প্রথম মৌলিক এই ফিল্মটির সহযোগিতায় রয়েছেন আমেরিকাস্থ বাংলাদেশি সংগঠন ‘একটিফুল’।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর ফুঁসে ওঠে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্ররাজনীতি। বুয়েটের সেই ভয়াল রাত আজও কাঁদায় সকলকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org