দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের খ্যাতিমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি নতুন নতুন স্মার্টফোন গ্রাহকদের উপহার দিচ্ছেন। শাওমির নতুন স্মার্টফোন রেডমি ১৪সি এখন দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে এলো শাওমির রেডমি ১৪সি। অত্যাধুনিক সব ফিচার ও স্টাইলিশ ডিজাইনের স্মার্টফোনটি গ্রাহকদের দেবে স্মুথ পারফরম্যান্স, অসাধারণ কার্যক্ষমতা এবং নান্দনিক ভিজ্যুয়াল।
শাওমির রেডমি ১৪সি এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬.৮৮ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ডট ড্রপ ডিসপ্লে, এতে থাকছে ২৬০ পিপিআই পিক্সেলের ১৬৪০x৭২০ রেজ্যুলেশন। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের এই স্মার্টফোনটিতে কন্টেন্ট ব্রাউজ করা- ভিডিও দেখা কিংবা মোবাইল গেমিং উপভোগের সময় গ্রাহকরা পাবেন মসৃণ এবং নিরবচ্ছিন্ন ভিজ্যুয়ালের নিশ্চয়তা। এই ডিভাইসটিতে রয়েছে ২৪০ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং যা এই স্মার্টফোনটির ব্যবহারে নিয়ে আসবে দ্রুত গতি। তাছাড়াও ৪৫০ নিটস এবং ৬০০ হাই ব্রাইটনেস মোড (এইচবিএম) থাকার কারণে সূর্যের আলোতেও প্রাণবন্ত ছবি উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
ডিসপ্লের সঙ্গে ফোনটির ডিজাইনও স্মার্টফোন প্রেমীদের মন জয় করবে তাতে সন্দেহ নেই। স্মার্টফোনটি অভিজাত ৩টি রঙে পাচ্ছেন এর গ্রাহকরা- মিডনাইট ব্ল্যাক, ড্রিমি পার্পল এবং স্টারি ব্লু। প্রতিটি শেড ডিজাইন করা হয়েছে এই স্মার্টফোনটির আভিজাত্যকে আরও ফুটিয়ে তোলার জন্য। পেছন দিকের স্টার ট্রেইল প্যাটার্ন স্মার্টফোনটির সামগ্রিক ডিজাইনে এনেছে বৈচিত্র্যের এক ছাপ।
ফোনটির ৫০ মেগাপিক্সেল ডুয়াল-ক্যামেরা ব্যবহার করে খুব সহজেই তোলা যাবে উচ্চ-মানের চমৎকার সব ছবি। এছাড়াও স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেল যাতে রয়েছে ৫পি লেন্স এবং এফ/১.৮ অ্যাপারচার। যে কারণে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই স্পষ্ট এবং উচ্চ-রেজ্যুলেশনের ছবি ধারণ করতে পারবেন। এই কনফিগারেশনের ক্যামেরায় কম আলোতেও ছবির গভীরতা এবং সঠিক টেক্সচার প্রদান করবে। একইসঙ্গে একটি অতিরিক্ত সহায়ক লেন্স এই ক্যামেরাটিকে করেছে পরিপূরক। সৃজনশীল ছবি ধারণের জন্য এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এইচডিআর মোড, পোর্ট্রেট মোড এবং নাইট মোড। স্মার্টফোনটির সামনের দিকে রয়েছে এফ/২.০অ্যাপারচারসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা যা দিয়ে ব্যবহারকারী তুলতে পারবেন ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার পোর্ট্রেট। তাছাড়াও ফিল্মক্যামেরা, এইচডিআর ও সফট-লাইট রিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাবহার করে গ্রাহকরা পেশাদার ফটোগ্রাফিরমতো নিখুঁত ছবি তোলার সুযোগও পাবে।
এই ফোনটিতে রয়েছে ৫ হাজার ১৬০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। যা দেবে নিশ্চিন্তে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করার নিশ্চয়তা। যার মাধ্যমে এর গ্রাহকরা এক চার্জে ১৩৯.৬৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৪২.৫ ঘণ্টা কল টাইম ও ২২.৬৪ ঘণ্টা ভিডিও প্লেব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকরা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে দীর্ঘসময় সংযুক্ত এবং কর্মতৎপর থাকার সুবিধা পাবেন।
শাওমির রেডমি ১৪সি স্মার্টফোনটিতে দেওয়া হয়েছে মিডিয়া টেক হেলিও জি৮১ আল্ট্রা প্রসেসসর, যা এই স্মার্টফোনটির কর্মদক্ষতাকে আরও বাড়িতে দেবে। দ্রুতগতির পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এই স্মার্টফোনটিতে ১২৮ জিবি স্টোরেজসহ ৬ জিবি র্যাম রয়েছে। এ ছাড়াও র্যামটিকে আরও ১২ জিবি পর্যন্ত বাড়াতেও পারবেন এর গ্রাহকরা।
৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধার শাওমির রেডমি ১৪সি স্মার্টফোনটির দাম ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, যা দিচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম সব ফিচার উপভোগের সুবর্ণ সুযোগ।
শাওমি বাংলাদেশের গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সকলের কাছে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশজুড়ে সকল শাওমি স্টোরেই এই স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org