দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি চুরি করে ৪৫০ কিমি দূরে ফেলে রেখে ক্ষমা চাইলো ‘বিবেকবান’ চোর! ওই নোটটিতে গাড়ির নম্বরও লেখা ছিল। এই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ গাড়ির আসল মালিকের হদিস পেয়েছে।
তবে নেটিজেনরা ওই চোরকে বিবেকবান চোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন! গাড়ি চুরি করেও বিবেকের তাড়নায় তা আবার ফেরত দিয়ে গেলো সে। ভারতের রাজস্থানের বিকানেরের নাপাসায় পুলিশ একটি পরিত্যক্ত এসইউভি গাড়ি খুঁজে পায়। গাড়িটিতে কোনও নম্বর প্লেটই ছিল না। তবে ৩টি হাতে লেখা নোটের সাহায্যে গাড়ির মালিককে খুঁজে বের করে পুলিশ।
ওই সময় সেই গাড়ির পিছনের অংশের কাচে একটি নোট পায় পুলিশ। যাতে লেখা ছিলো, ‘‘এই গাড়িটি দিল্লির পালাম হতে চুরি হয়েছে -দুঃখিত।’’ এর পাশে আরও একটি নোটে লেখা ছিলো যে, ‘‘আমি আমার ভারতকে ভালোবাসি।’’ ওই নোটটিতে গাড়ির নম্বরও লেখা ছিল। এই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ গাড়ির আসল মালিককে খুঁজে পায়। শেষ নোটটি আটকানো ছিল গাডির উইন্ডস্ক্রিনে। যাতে লেখা ছিলো, এই গাড়িটি দিল্লি হতে চুরি হয়েছে। দয়া করে পুলিশকে ফোন করে জানিয়ে দেন। সম্প্রতি স্থানীয় এক বাসিন্দা জয়পুর বিকানের হাইওয়ের একটি হোটেলের কাছে গাড়িটিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
গা়ড়ির মালিকও ১০ অক্টোবর থানায় গাড়ি চুরির অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিকানের থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা যে, গাড়িটি অপরাধের জন্য ব্যবহার করাও হয়ে থাকতে পারে ও কার্যসিদ্ধির পরই তা ফেলে রেখে পালিয়েছে ওই চোর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org