দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কয়েকটি ফল নিয়মিতভাবে খেলেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হবে না অর্থাৎ মাছ, মাংসের পরিবর্তে কোন ফলগুলো খেলে শরীরে প্রোটিনের শূন্যস্থান পূরণ হবে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
সুস্থ থাকার চাবিকাঠিই হলো প্রোটিন। সেই চাবিকাঠিতেই লুকিয়ে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিমের মতো আমিষ খাবারে। আমিষভোজীদের ক্ষেত্রে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি নিয়ে ভাবনার দরকারই পড়ে না। যে কোনও প্রাণীজ খাবারেই কমবেশি প্রোটিন থাকে। তবে জানেন কী প্রোটিন থাকে এইসব ফলেও! তাই নিরামিষভোজীদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুঁজে হয়রান হওয়ার কোনো দরকার নেই। কয়েকটি ফল নিয়মিত খেলেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হবে না। মাছ, মাংসের পরিবর্তে তাহলে কোন ফলগুলো খেলে শরীরে প্রোটিনের শূন্যস্থান পূরণ হবে? সেটি আজ জেনে নিন।
কাঁঠাল
যদিও এখন কাঁঠালের মৌসুম নয়, তবুও জেনে রাখতে ক্ষতি নেই। এক কাপ কাঁঠালে ৩ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। এটি ঠিক যে প্রোটিনের পরিমাণে কাঁঠাল, মাংসের সঙ্গে পাল্লাও দিতে পারবে না। তবুও বিকল্পের হদিস জেনে রাখাটা জরুরি। কাঁঠালে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি’ও রয়েছে।
কলা
কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আরও থাকে নানা ধরনের উপাদানের প্রোটিনও। ১০০ গ্রাম কলাতে থাকে ১.১ গ্রাম প্রোটিন। কলা প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতেও পারে।
আঙুর
আঙুর ফল শুকিয়েই তৈরি হয় কিশমিশ। পায়েস হোক কিংবা পোলাও এ কিশমিশ দিতেই হবে। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কিশমিশের মধ্যে থাকে ৩ গ্রাম প্রোটিন। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়া হয় না। তবে মাঝে-মধ্যে খেলেই প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
খেজুর
চাটনিতে খেজুর হলো এক জনপ্রিয় উপকরণ। খেজুর চাটনির স্বাদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। তবে এই খেজুরের প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে ২.৪৫ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও থাকে ৮ গ্রাম ফাইবার।
পেয়ারা
পেয়ারা যেমন সুস্বাদু একটি ফল, তেমনই উপকারীও। পেয়ারার রস কিংবা জ্যামও বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকেই জানেন না, প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে থাকে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org