দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোল্ড সঞ্চয়কে সবার জন্য আরও সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং ঝামেলাহীন করতে গোল্ড কিনেন শুরু করছে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় মাসিক গোল্ড সঞ্চয়ের সুবিধা।
গোল্ড কিনেন অ্যাপের নতুন ‘অটো গোল্ড সেভ’ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিমাসে ১ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত গোল্ড সঞ্চয় করার সুযোগ পাবেন। ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পূর্বনির্ধারিত তারিখে, ব্যবহারকারীর সম্মতি সাপেক্ষে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে গোল্ড জমা হয়ে যাবে, ব্যবহারকারীর গোল্ড কিনেন অ্যাকাউন্টে। গোল্ড সঞ্চয়ের প্রবণতা নিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে সম্পূর্ণ ঝামেলাহীন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে অনন্য এই ফিচার।
গোল্ড কিনেন-এর বিশ্বাস যে, এই উদ্যোগটি সবাইকে গোল্ড কিনতে অনুপ্রাণিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে। ফলে, সকলে স্মার্ট গোল্ড সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক স্বাক্ষরতা বৃদ্ধি পাবে, সঞ্চয় প্রবণতা গড়ে উঠবে ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত হবে। এ উপলক্ষে, গোল্ড কিনেন অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে প্রতি ট্রানজেকশনে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক (প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত) সুবিধা। এই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে অফারটি চলবে।
গোল্ড কিনেন বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র গোল্ড কেনার অ্যাপ; সবার জন্য গোল্ড কেনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময়, সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী করে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org