দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি।

এই ক্যাম্পেইন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের মাঝে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।
অগ্নি নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০২৪ সালে দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে মানুষের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এনার্জিপ্যাক শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সহ প্রায় ২৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা হাতে-কলমে অগ্নি নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপক যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার ও উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। এই আয়োজন তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা ও স্কুল কমিউনিটির মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ সিএসআর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশজুড়ে জননিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেএনার্জিপ্যাক।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org