দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে যার স্পর্শে মানুষ আত্মহত্যা করে! ‘ড্রেনড্রকনাইড মরইডেস’ নামক এই প্রাণঘাতী গাছ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেইনফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়।
এই গাছটি ‘আত্মহত্যার গাছ’ হিসেবে পরিচিত। কারণ হলো এই গাছের হুল শরীরে একবার লাগলে তা এতোটাই যন্ত্রণাদায়ক যে, শোনা যায় যে একজন ভুক্তভোগী ওই যন্ত্রণা হতে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন!
ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠা যন্ত্রণাদায়ক গুল্ম হিসেবে খ্যাত এই বিপদজনক উদ্ভিদটি গেম্পি গেম্পি, দ্য সুইসাইড প্লান্ট, মুনলাইটার নামেও অধিক পরিচিত। এই গাছটি প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণভাবে হুলে আচ্ছাদিত এবং এর হুল এতোটাই পীড়াদায়ক। এর কারণ হলো তা প্রবলভাবে কার্যকর উচ্চ নিওরোটক্সিন নির্গত করে। বিষাক্ত এই হুল মানব শরীরে লাগলে তা এক দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, এই গাছের হুল শরীরে বিঁধলে তার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে, ওয়াক্স স্ট্রিপের মাধ্যমে ত্বক হতে গাছের হুল তুলে ফেলা ও ত্বকের আক্রান্ত স্থানে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের দ্রবণ লাগানো। বলা হয়েছে, গাছটির হুল শরীরে লাগায় যে ব্যথা শুরু হয় সেটি দুই বছর পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এই ব্যথা খুবই অসহনীয়।
সেই ১৯৬৩ সালের কথা। এরনিক রাইডার নামে এক ভুক্তভোগী তার মুখ ও ঘাড়ে এই গাছের স্পর্শ লেগেছিলো। তিনি বলেছেন, দুই বা তিন দিনের জন্য ব্যথা প্রায় অসহনীয় ছিল, আমি কোনো কাজই করতে পারিনি, এমনকি ঘুমাতেও পারিনি। তারপর এটি শরীরে খুব খারাপ একটা যন্ত্রণায় পরিণত হয় এবং তা চলতেই থাকে। এই যন্ত্রণা চলেছে দুই বছর ধরে। সবসময় আমি ঠাণ্ডা পানিতে শরীর আবৃত করে রাখতাম। এর প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুই নেই, অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে এটি অন্তত দশগুণ বেশি ভয়ানক। সুতরাং বলা যায়, আপনাকে ভীতি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় এর চেয়ে ভয়ানক বোধহয় আর কোনো গাছ নেই!