দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য সেহরীর সময় থেকে লাইন দিয়ে থাকতে হয়। প্রতিবছর একই অবস্থা বিরাজ করে। অথচ এবার গতকাল (সোমবার) থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও কমলাপুরে একেবারেই ভীড় ছিল না!
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য গতকাল সোমবার সকাল ৮টা হতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বিক্রি হয় ২১ জুনের টিকিট। আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি হচ্ছে ২২ জুনের টিকিট। কিন্তু টিকিট বিক্রির শুরুতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে যাত্রীদের উপস্থিতি। ফাঁকা কমলাপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টার! বেলা সাড়ে ১০টার পর দুই একটি কাউন্টার ছাড়া বাকিগুলোতে ভিড় ছিল না তেমন একটা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত স্টেশন ম্যানেজর শিতাংশু চক্রবর্তী সহযোগী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে। সকাল ৮টা হতে যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছে। কোনও ঝামেলা হয়নি। সাড়ে ১০টা হতে ভিড় কিছুটা কমে গেছে। এটা মনে হয় বৃষ্টি বা বৈরী আবহাওয়ার জন্যও হতে পারে। তাছাড়া ২১ তারিখে অর্থাৎ এতো আগে অনেকেই ঢাকা ছাড়তে পারবেন না। সে কারণেও এমনটি হতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) ২২ জুনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী আসবে, ততক্ষণ আমরা টিকিট দেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বতীপুর-রাজশাহীগামী ট্রেনের স্পেশাল সার্ভিস ২৩ জুন হতে চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে এই স্পেশাল সার্ভিস ২২ জুন হতে চালু করার কথা চিন্তা চলছে। কারণ এই রুটে যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি থাকে।’
গতকাল (সোমবার) সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ২৩টি কাউন্টারের মধ্যে দিনাজপুর ও রাজশাহীগামী কাউন্টারে একটু ভিড় রয়েছে। অন্য কাউন্টারগুলোতে একেবারেই যাত্রী নেই।
জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি হবে ২২ জুনের টিকিট। কাল (বুধবার) ২৩ জুনের টিকিট, এভাবে প্রতিদিন অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এভাবে ২৪ জুন পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে ২২ হাজার ১২২টি টিকেট দেওয়া হবে। এরমধ্য ঈদের টিকিট ২৫ শতাংশ মোবাইলে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত থাকছে, বাকিগুলো কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ৫ শতাংশ ভিআইপি এবং ৫ শতাংশ রেলের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত থাকছে বলেও জানানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে।