দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। দেশটির রাজধানী কাবুলে গত ৬ মাসে বোমা হামলায় অন্তত দেড় হাজার নিহত হয়েছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) এক রিপোর্টে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তালেবান ইস্যুতে আফগানিস্তান বিগত বছরগুলোতে চরম এক ভীতিকর পরিস্থিতিতে উপনিত হয়। দেশটির ওপর চলতে থাকে এক অমানবিক হামলা। একদিকে যৌথবাহিনী অপরদিকে তালেবানদের আক্রমণ। সব মিলিয়ে দেশটি পরিণত হয় এক বিধ্বস্ত নগরীতে। কয়েক বছরের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। এরপর তালেবানদের উপস্থিতি কমে আসে। যৌথবাহিনীও তাদের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিতে থাকে। সব কিছু যেনো স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু গত ৬ মাসে পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেখানে ঘটছে বারংবার হামলার ঘটনা।
চলতি বছরের জানুয়ারি হতে প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বোমা হামলার ঘটনায় ১ হাজার ৬৬২ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৩ হাজার মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়েছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংস্থাটি আফগানিস্তানে ২০০৯ সাল হতে বেসামরিক হতাহতের ডকুমেন্ট প্রকাশ করে আসছে।
কাবুলে গত মে মাসেও একটি ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানী কাবুলে দেড় শতাধিকের বেশি মানুষ নিহত হন।
ইউএনএএমএ বলেছে, ওই হামলায় ৯২ বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০১ সাল হতে দেশটিতে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ভয়াবহ হামলাগুলোর একটি ছিল ওই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের প্রায় অর্ধেক প্রদেশে বেসামরিক ব্যক্তির নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন রাষ্ট্র যখন মরণপণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, ঠিক তখন আফগানিস্তানের হামলার ঘটনা বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রত্যাশা আফগানিস্তান সন্ত্রাসমুক্ত একটি রাষ্ট্র হিসেবে আবারও উঠে দাঁড়াবে। শান্তির সুবাতাস বইবে এই মুসলিম রাষ্ট্রটিতে সেটিই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।