দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০১৭ খৃস্টাব্দ, ১০ ভাদ্র ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, ২ জিলহজ্জ ১৪৩৮ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
বরিশালের নজরকাড়া ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হলো মিয়া বাড়ির মসজিদ। মুঘল আমলে নির্মিত বাংলাদেশের প্রাচীন এই স্থাপনাটি কড়াপুর মিয়া বাড়িতে অবস্থিত।
এই দোতলা মসজিদের নিচে ৬টি দরজা, দোতলায় রয়েছে ৩টি দরজা, ৩টি গম্বুজ, ৮টি বড় এবং ১২টি ছোট মিনার রয়েছে মসজিদটির। বরিশাল উপজেলা নবগ্রাম রোড উত্তর কড়াপুর মিয়াবাড়ী গ্রামে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি অবস্থিত।
এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন হায়াত মাহমুদ। তিনি ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কারণে প্রিন্স অফ ওয়েলস দ্বীপে নির্বাসিত হন। তাঁর বুর্জুগ উমেদপুরের জমিদারিও কেড়ে নেওয়া হয়।
মসজিদের সামনে রয়েছে অনেক একর নিয়ে একটি বিশাল দিঘী। যা হৃদয় কেড়ে নেয় পর্যটকদের।
উঁচু বেসম্যাণ্টের উপর এই কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। নীচতলায় বেসম্যাণ্টের অভ্যন্তরে কয়েকটি কক্ষও রয়েছে। এগুলো মসজিদের নিকটে অবস্থিত মাদ্রাসার ছাত্রদের থাকার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।মসজিদে প্রবেশ করার জন্য দোতলায় একটি প্রস্তুত সিঁড়ি রয়েছে।
এই মসজিদটির উপরিভাগে ৩টি ছোট আকারের গম্বুজ রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে মাঝখানের গম্বুজটি অন্য দুটি গম্বুজের চেয়ে আকারে বেশ কিছুটা বড়। কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদের সামনের দেওয়ালে ৪টি মিনার ও পেছনের দেওয়ালে ৪টি মিনার সমেত মোট ৮টি মিনার রয়েছে। মসজিদটির স্থাপত্যরীতিতে পুরান ঢাকায় অবস্থিত শায়েস্তা খান নির্মিত কারতলব খান মসজিদের অনুকরণ। সঠিক নির্মাণ সময় জানা না গেলেও মনে করা হয়ে থাকে ১৮শ শতকে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ছবি ও তথ্য: http://ourislam24.com এর সৌজন্যে।