দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে সত্যবাদী মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। সমাজের আনাচে-কানাচে মিথ্যাবাদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় আপনি মিথ্যাবাদী চিনবেন কীভাবে? আজ জেনে নিন সেটি।
আমাদের সমাজে মিথ্যা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা বলছে তা বোঝা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। আপনার সামনের মানুষটি সত্যি কথা বলছে, নাকি মিথ্যা বলছে সেটি ধরা খুবই কঠিন কাজ।
সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক অ্যামি কাডি এ বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেছেন। বইটির নাম দিয়েছেন ‘প্রেজেন্স: ব্রিংগিং ইয়োর বোলডেস্ট সেলফ টু ইয়োর বিগেস্ট চ্যালেঞ্জেস’। এই বইটির একটি অংশে কাডি তুলে ধরেছেন মিথ্যা কথা ধরে ফেলার কিছু সহজ উপায়।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বড় কোনো বিষয়ের ওপর মনোযোগ না দিয়ে কথা বলার সময় মানুষের কিছু ছোট ছোট বিষয় খেয়াল করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, ওই ব্যক্তি মিথ্যা বলছে, নাকি সত্য বলছে। কারণ হলো মিথ্যা কথা বলার সময় চেহারা এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গি অজান্তেই বেশিরভাগ সময় বিদ্রোহ করে বসে!
যেমন একটা ঘটনা ঢাকতে গিয়ে আরেকটি ঘটনা বানিয়ে বলে দিচ্ছে, কাজটা একটু কঠিনই বটে। আবার অনেকের কাছে কাজটি খুব সহজ হলেও ঠিককই মনে মনে অনুতপ্ত হন। অর্থাৎ তিনি মিথ্যা কথা বলার সময় অনুতপ্ত হচ্ছেন, তাঁকে আবার সেটিও লুকাতে হচ্ছে। এতোদিক সামলাতে গিয়ে কোথাও না কোথাও, বা কিছু না কিছু ফাঁস হয়েই যায় শেষ পর্যন্ত।
কাডির মতে, সামনের মানুষটি মিথ্যা কথা বলছেন কি-না, সেটা ধরার জন্য প্রথমেই খেয়াল করুন তার কথার সঙ্গে চেহারার অভিব্যক্তির মিল রয়েছে কি-না। হয়তো গলায় খুশির আভাস কিংবা চেহারায় থাকবে দুশ্চিন্তার ঝলক। তবে এক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অপরদিকে উল্টো দিকের মানুষটি কী বলছেন সেটার ওপর বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে কথা ও চেহারার অভিব্যক্তির অমিলগুলো চোখে ধরা পড়ে না। তবে যাদের ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং ডিসঅর্ডার রয়েছে, তারা মিথ্যুকদের খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারেন। যেহেতু ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে তাদের বেশ সমস্যা হয়, কী বলা হচ্ছে সেটি দ্বারা তারা বিভ্রান্ত হন না।
মনোবিজ্ঞানী কাডির মতে, রাস্তা একটাই; আর তা হলো যদি সত্য-মিথ্যা বুঝতে চান, তাহলে শুধু কথার ওপর ভরসা না করে চেহারা এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গির দিকেও ভালো মতো লক্ষ রাখুন। তাহলে সত্য মিথ্যার পার্থক্য আপনি সহজেই ধরতে পারবেন।