দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্ক ২ লাখ রোহিঙ্গার সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব নেবে বলে জানানো হয়েছে। তুরস্ক সরকার বাংলাদেশে আশ্রিত ২ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য, আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা, ল্যাট্রিন এবং টিউবওয়েলসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে।
গত রবিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেবরিম ওজতুর্ক এই প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রোহিঙ্গা সেল) হাবিবুল কবির এই সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা এই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও করেন। তাছাড়া রান্নাবান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির ব্যবস্থাও করবে তুরস্ক।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় বিষয়ে তুরস্ক সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই লক্ষ্যে সরকার দেশী-বিদেশী সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০ হাজার টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিনের প্রয়োজন। সরকার ইতিমধ্যে ৭ হাজারের অধিক ল্যাট্রিন নির্মাণ করেছে। ইউনিসেফ ১০ হাজার ল্যাট্রিন নির্মাণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
এই অবস্থায় মন্ত্রী তুরস্কের কাছে ২০ হাজার টিউবওয়েল এবং ২০ হাজার ল্যাট্রিন নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করলে তারা তাতে রাজি হন।
এই সময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তুরস্ক ক্যাম্প এলাকায় শীঘ্রই ২টি বড় ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং ১০টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করবে। ইতিমধ্যে তুরস্ক ২০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
তবে মন্ত্রীর চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।