দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার শব্দের চেয়েও ১০ গুণ দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে চীন! চীনের এই গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএ আগামী বছরের মাঝামাঝি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
চীনের গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএ নামে দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র আগামী বছরের মাঝামাঝি যুক্ত হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও ১০ গুণ দ্রুতগামী। এটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম। অন্তত ১০টি পরমাণু ‘ওয়ারহেড’ কিংবা বোমা সজ্জিত ডংফেং-৪১ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিশ্বের যে কোনো স্থানে হামলা চালানো সম্ভব।
১০টি পরমাণু বোমা দিয়ে পৃথক ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। তাছাড়া শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করার প্রযুক্তি থাকবে এটিতে। এই প্রযুক্তির আওতায় শত্রুকে বিভ্রান্ত করতে ‘ডামি ফ্লায়ার’ কিংবা আতশবাজি ব্যবহার করবে ডংফেং-৪১!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০১২ সালের পর হতে অন্তত ৮ দফা ডংফেং-৪১য়ের পরীক্ষা চালায় চীন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে অষ্টম পরীক্ষাটি চালানো হয় বলে খবর দিয়েছে চীনা দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। অবশ্য এটি কোথায় পরীক্ষা চালানো হয়েছে সেটি খবরে উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই সব পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে চীনের। যে কারণে চীনা সেনাবাহিনীতে একে ব্যবহারের উপযোগী বলে ঘোষণা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে গ্লোবাল সিকিউরিটি নামের সংস্থাটি জানিয়েছে, কঠিন জ্বালানি চালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১০ হতে ১২ হাজার কিলোমিটার। ১৫ মিটার দীর্ঘ ও ২ মিটার ব্যাসার্ধের ডংফেং-৪১য়ের ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন প্রায় ৩০ হাজার কিলোগ্রাম বলে জানানো হয়েছে প্রকাশিত খবরে।