দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কী জানেন? মহাকাশে মানুষ মারা গেলে মৃতদেহটি কী করা হয়? না জানলে আজ জেনে নিন মহাকাশে মানুষ মারা গেলে কি করা হয়।
মানুষ যে কোনো সময়ই মরতে পারে। বয়স বা ছোট বড় বলে কোনো কথা নেই। মৃত্যু হলেই মরতে হবে সেটিই স্বাভাবিক। তাই মানুষ যখন মহাকাশে পাড়ি জমান তখনও মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু মহাকাশে মৃত্যু হলে কি করা হয় সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
মৃত্যুর পর আমাদের মৃতদেহ পচে-গলে যায় সেটি আমরা সকলেই জানি। তবে মহাকাশে মৃতদেহের কি হয় তা কি আমরা জানি না। কারণ হলো মহাকাশে অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরিভাবে ফাঁকা নয়। প্রধানত অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র ও নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে থাকে। তাত্ত্বিকভাবে এতে কৃষ্ণবস্তু ও কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান। মহাশূন্যে এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা মানুষ এখনও কল্পনাও করতে পারেনি। তাই পৃথিবীর মতো মহাকাশে মৃতদেহ পচে না। তাহলে কী হয়?
মহাকাশে লাশ পচার সুযোগ পাবেনা। কারণ রেডিয়েশন এবং বায়ুশূন্যতায় শরীরের যতো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, ওগুলো মারা যাবে কিংবা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। লাশটি যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সঙ্গে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সেটি সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। অনেকটা ইতালির পম্পেইতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হওয়া নগরীতে যেমন লাশ উদ্ধার হয়েছিল ঠিক তেমনি।
যদি লাশটি পৃথিবীর কক্ষপথ হতে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে। যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে থাকে, যে কারণে লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ুশূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয়না তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্ট কিংবা আল্পস পর্বতমালার হিমবাহের মাঝে লাশ যেমন বছরের পর বছর অক্ষত থাকে, ঠিক তেমনি মহাকাশেও লাশ কয়েক মিলিয়ন বছর পরেও চেনা সম্ভব, অর্থাৎ যতোক্ষণ না এটা কোনো জ্যোতিষ্কে পতিত হচ্ছে ততোক্ষণ নয়।