দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সংগঠন আরসা বলেছে, মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করা ছাড়া তাদের হাতে অন্য কোনো পথ নেই। তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর যা হচ্ছে, তা মিয়ানমারের সরকার সমর্থিত সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়।
রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আবার মিয়ানমারের সেনাদের ওপর গত শুক্রবার হামলা চালায়। এই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আরসা তাদের সেই আক্রমণের দায়িত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি জানিয়েছে যে, তাদের এ ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
আরব নিউজ বলেছে, আরসার নেতা আতা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয় টুইটারে। এতে আতা উল্লাহ লিখেছেন, ‘আরসার সামনে বার্মার রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া নিজেদের রক্ষা এবং উদ্ধার করার অন্য কোনো পথ নেই।’
আতা উল্লাহ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছেন, রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ মানবিক চাহিদা মেটানো এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, গত শুক্রবার মিয়ানমারে সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপ। এতেকরে ৬ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
মিয়ানমার সরকার বলেছে, ২০ জন বিদ্রোহী পাহাড় হতে সেনা সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালায়। হাতে তৈরি বোমা এবং অস্ত্রের সাহায্যে এই হামলা চালিয়েছে তারা। সেনাবাহিনী বলেছে, বাঙালি সন্ত্রাসীদের দল ‘আরসা’ এই হামলা করেছে।
ইয়াঙ্গুন ভিত্তিক একটি ম্যাগাজিনের খবরে বলা হয়, হামলায় আহত ৬ সেনা সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে আরসা কয়েকটি সেনা এবং পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমণ করলে সহিংসতা শুরু হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে জাতি নির্মূল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে বাস্তবে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।