দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও পর্যটন সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে গিয়ে ধারণ করা হয়ে থাকে ‘ইত্যাদি’। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে এবারের ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে তিতাসপাড়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস দিয়ে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদির আয়োজন। শিকড় সন্ধানী ইত্যাদিতে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে প্রচারবিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে বের করে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। যাতে তাদের কাজ দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারেন। এছাড়াও থাকে দেশি-বিদেশি অচেনা-অজানা স্থানকে নিয়ে তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিবেদন। এবারের ইত্যাদির পর্বে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন।
আরও রয়েছে এক ব্যতিক্রমী পরিশ্রমী অটোরিকশাচালক দুলাল চন্দ্র দাসের ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদনও। বরিশালের বাবুগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইসাহাক শরীফের ওপর রয়েছে আরও একটি শিক্ষণীয় প্রতিবেদন।
সেইসঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেদারল্যান্ডসের নাগরিক আনোয়ারা বেগমের নিজের শিকড়ের সন্ধানের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও।
নিয়মিত পর্বসহ প্রতিবারের মতো এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ন নাট্যাংশও। বিপথে গিয়ে বিপদে ফেলা, পার্বণ গবেষণা, হাঁটার কাঁটা, যন্ত্রের যন্ত্রণা, হাসপাতালের হাঁসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কিছু নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা এবং মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন অনুষ্ঠানের নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম।
গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির আগামী পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে ৩০ মার্চ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা এবং উপস্থাপনা করেছেন খ্যাতিমান উপস্থাপক হানিফ সংকেত। ইত্যাদি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ‘ইত্যাদি’ স্পন্সর করেছে এবারও কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড।