দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। মহান এই দিনটি তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করছে।
আজ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬ র্মাচ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন, এটি একটি রক্তাক্ত আনন্দের নাম। ২৬ মার্চ হলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন।
আজ থেকে ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাক হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালিদের স্বাধীকার আন্দোলন ও তৎকালীন জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাক হানাদার বাহিনী সারাদেশে শুরু করে গণহত্যা। ১৯৭১ সালের কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষক বাসভবন, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতেই পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনীর যারা বাঙালি সদস্য ছিলেন তারা শুরু করেন প্রতিরোধ, তাদেরসঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ মানুষও। যার ফলশ্রুতিতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করছে। স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, একাত্তরের নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলসহ দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অগণিত শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক অভিনন্দন।