দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় পায়রা মানুষের চিঠি বহন করতো। কিন্তু সে ছিলো বহুযুগ আগের কথা। কিন্তু তাই বলে এই আমলে এসেও কী পায়রা চিঠি নিয়ে যায়? এও কী সম্ভব?
এক সময় চিঠি আদান প্রদানের প্রধান বাহন ছিলো পায়রা। যাকে আমরা কবুতর বলে জানি। কিন্তু আধুনিকপ্রযুক্তি সেসব দিনের কথা আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে। এখন তো পোস্ট অফিসেও যাওয়া লাগে না। ঘরে বসেই মোবাইল ফোন কিংবা ই-মেইলে চিঠি আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এখন আর কবুতর বা পায়রার কথা ভাবাই যায় না।
তবে সেই শত বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন ভারতের ওড়িশা পুলিশকর্মীরা! সেখানে ডাক যোগে চিঠি আদান-প্রদান হয় না, তাদের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি নিয়ে যাচ্ছে পায়রা!
এক সময় পায়রা যে আমাদের প্রধান বার্তা বাহক ছিল। আমরা সেকথা ভুলতে বসেছিলাম। প্রথা ধরে রাখতেই ভারতের ওড়িশার পুলিশকর্মীরা এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
প্রথমে পঞ্চাশটি পায়রা নিয়ে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ওড়িশা পুলিশ। প্রথমে কটক থেকে ভুবনেশ্বর পাঠানো হয় পায়রাগুলিকে। প্রত্যেকের কাছেই ছিল একটি করে চিঠি। যা তাদের পায়ে বেঁধে দেওয়া হয়।
এর দেখা যায়, ২০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে পায়রাগুলি ২৪ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করেছে। জানা যায়, সত্তর বছরের পুরোনো ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা। পায়রা দিয়ে চিঠি আদান-প্রদানের ধারা তারা বজায় রাখতে চান বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সাবেক ডিজিপি অমিয় ভূষণ ত্রিপাঠি।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে ২০০টি পায়রা নিয়ে শুরু হয় ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এই পরিষেবা। ১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোনের সময় যখন রেডিও ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলো, তখন তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো এই পায়রা পরিষেবা। এই পায়রার মাধ্যমেই চলতো জরুরি বার্তা আদান-প্রদানের কাজগুলো। সত্যিই বাহবা জানাতে হয় ওড়িশা পুলিশ বাহিনীকে!