দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন এসিপি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শ্রী দেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, শ্রীদেবীকে ‘খুন’ করা হয়েছে!
শ্রীদেবীর মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনাভাবেই খুন করা হয়েছে শ্রীদেবীকে। ভারতীয় এই নায়িকার রহস্যজনক মৃত্যুর ৪ মাসের মধ্যেই এই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বেদ ভূষণ নামে দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন এসিপি। বেশ কিছুদিন পূর্বে চাকরি হতে অবসর নিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন এই এসিপির দাবিতে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে।
জানা যায়, অবসর গ্রহণের পর রাজধানীতে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা চালাতেন বেদ ভূষণ। বেদ ভূষণ জানিয়েছেন, বাথটবের মধ্যে কাওকে ডুবিয়ে মারা খুবই সহজ কাজ। জলের মধ্যে ততোক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে যতোক্ষণ না দেহ নিথর হয়। এর কোনও রকম প্রমাণও থাকে না। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর দুবাই পুলিশের পক্ষ হতে তদন্ত শুরু করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় নায়িকার মরদেহ। তা নিয়ে বিস্তর জল্পনাও হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু ঘটেছে বলিউডের ‘চাঁদনি’র। এর নেপথ্যে অন্যরকম কোনও কারণ নেই। তদন্তে সন্তুষ্ট হওয়ার পরই দেহ আনার ছাড়পত্র দিয়েছিল দুবাই সরকার।
তবে দুবাই পুলিশের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বেদ ভূষণ। তিনি দাবি করে বলেছেন, জুমেইরা এমিরেটস টাওয়ার্সে তিনি নিজে গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে হোটেলের ওই ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার পাশের ঘরেই ছিলেন তিনি। পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে দেখেছিলেন তিনি। তাতে তাঁর মনে হয়েছে যে, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় শ্রীদেবীকে। উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে এই একই অভিযোগ তোলেন পরিচালক সুনীল সিং। তাঁরও দাবি ছিলো যে, খুন করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রীকে। যে বাথটাবে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘটে সেটি ছিল ৫ ফুটের। শ্রীদেবীর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তাহলে কেমন করে বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হতে পারে তাঁর? এই প্রশ্ন করেন তিনি।
জানা যায়, এই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুনীল সিং। আদালতের এজলাসে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেছিলেন যে, ওমানে শ্রীদেবীর নামে ২৪০ কোটি টাকার বীমা করানো রয়েছে, যা নায়িকার মৃত্যুর পরই পাওয়া যেতো। সে কারণেও হয়তো নায়িকাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে সুনীলের আবেদন শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায় তখন। এবার বিষয়টি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বেদ ভূষণের দাবি ওঠার পর। এখন হয়তো পুলিশ আবারও নড়াচড়া শুরু করবে।