দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট-চার্চের অন্তত দু’টি মসজিদে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যা।
নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওই সময় মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটেছে তারা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। পরিস্থিতি দেখে তারা কোনো রকমে সেখান থেকে সরে আসেন। তবে ক্রিকেটাররা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে।
সার সংক্ষেপ
পুলিশ বলেছে যে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে গোলাগুলির ঘটনায় ‘একাধিক হতাহতের’ ঘটনা ঘটেছে।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ জানিয়েছেন যে, ওই হামলায় ৪৯ জন মারা গেছে। ২০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ২ জন বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছেন বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন বলেছেন, এই ঘটনা তাঁর দেশের ইতিহাসে ‘অন্ধকারতম অধ্যায়’গুলোর একটি।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত এক নারীসহ অন্তত চারজন তাদের জিম্মায় রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা আসা না পর্যন্ত ওই এলাকার সব মসজিদ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। বাতিল করা হয়েছে কালকের (১৬ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট।
জানা গেছে, আল নূর মসজিদের কাছেই অনুশীলন করতে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ওই মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন তখন তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং নিরাপত্তার জন্য তারা পাশের একটি পার্কে ঢুকে পড়েন।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাওয়া খবর থেকে জানা যায় যে, একটি সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, দেরি করে শুরু হওয়ায় তারা কিছুটা দেরীতে মসজিদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অন্যথায় তারা হয়তো এই হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই থাকতেন।