দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ৮ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ১৪ রজব ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি খুলনার কয়রার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদ নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলার বহু প্রাচীন গ্রাম হলো আমাদি। কপোতাক্ষ নদের পূর্ব পাড়ের এই গ্রাম হলো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ। ধারণা করা হয় যে, মহাত্মা খানজাহান আলীর শিষ্য বুড়া খান েএবং ফতেহ খান এই গ্রামে কাছারি করে এলাকা শাসন করতেন ১৪৫০-১৪৯০ সালের দিকে। তাঁরা এখানে একটি ৯ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন, যার রাখেন মসজিদকুড়। ইট-সুরকির তৈরি মসজিদটি দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রত্নসম্পদ হিসেবে খ্যাত।
বর্গাকার এই মসজিদের প্রতি পাশের মাপ হলো ১৬ দশমিক ৭৬ মিটার, ভেতরের মাপ ১২ দশমিক ১৯ মিটার করে। কেবলামুখী দেওয়াল বাদে বাকি তিন দেওয়ালে মসজিদে ঢোকার জন্য ৩টি করে খিলান বা প্রবেশদ্বার রয়েছে। তবে মাঝের প্রবেশদ্বারগুলো অপেক্ষাকৃত একটু বড়। কেবলামুখী দেওয়াল ক্ষুদে অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিহরাব অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের ভেতরে ৪টি স্তম্ভের ওপর ছাদ ভর করে রয়েছে। এই ৪টি স্তম্ভ মসজিদের ভেতরের অংশকে ৯টি সমবর্গক্ষেত্রে ভাগ করেছে। বর্গক্ষেত্রগুলো গম্বুজ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। মসজিদটি একসময় টেরাকোটা দিয়েও সজ্জিত ছিল, এখন এগুলোর অনেকটাই খসে পড়েছে কিংবা খোয়া গেছে।
আমাদির মসজিদকুড় মসজিদের নকশার সঙ্গে পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদের পাশে সিকান্দার শাহর ৯ গম্বুজ সমাধির নকশার মিলও লক্ষণীয়।
অবশ্য বাগেরহাটে খানজাহান নির্মিত ইমারতগুলোর নকশাও প্রায় একই ধরনের বলে মনে হয়। মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
লেখার জন্য খসরু চৌধুরীকে অশেষ ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র: www.prothomalo.com