দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৪০ সদস্য অপহরণ করা হয়েছে। দেশটির জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা এমন কাজ করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে। টহলরত নৌযানে হামলার মাধ্যমে এই অপহরণ সংগঠিত হয় বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৪০ সদস্য অপহরণ করা হয়েছে। দেশটির জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা এমন কাজ করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে। টহলরত নৌযানে হামলার মাধ্যমে এই অপহরণ সংগঠিত হয় বলে জানা গেছে।
দুই সপ্তাহ পূর্বেও রাখাইনে দেশটির একটি খেলোয়াড় দলের বাসে হামলা চালিয়ে এক ডজনের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা। এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটির সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যদের অপহরণের ঘটনা ঘটলো।
গত শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর এই সদস্যরা অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, ঘটনার পর পরই হাজার হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের লক্ষ্যই হলো রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া। জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা রাজ্যের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছেন।
গত শুক্রবারও রাখাইনের বুথিডংয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গাড়িবহরে রিমোট নিয়ন্ত্রিত মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য মারা যায়।
এই বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেন, শনিবার সকালের দিকে রাখাইনের রাজধানী সিত্তের উত্তরাঞ্চলে নৌযানে কর্তব্যরত পুলিশ এবং সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে নদীর তীর হতে গুলি ছোড়ে বিদ্রোহীরা। সেনাবাহিনীর ১০ জনের বেশি সদস্য, ৩০ জন পুলিশ ও কারা বিভাগের আরও দুই কর্মী ওই নৌযানে অবস্থান করছিলেন। এরপর ৪০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই বিদ্রোহীরা।
সংবাদ মাধ্যমে খবরে আরও বলা হয়, বিদ্রোহীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকার আশপাশে বিদ্রোহীদের বিশাল ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে আরাকান আর্মির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।