দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানি কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানির ‘গুপ্তহত্যা’র বদলা নিতে ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সার্বিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে চরম এক উত্তেজনা বিরাজ করছে।মার্কিন সেনাদের ওপর চালানো এই হামলার জেরে ইরানে পাল্টা হামলা হলে মার্কিন মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং ইসরায়েলের হাইফা শহর ধ্বংস করার জন্য হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইআরজিসি)।
ইরানি কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানির ‘গুপ্তহত্যা’র বদলা নিতে ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সার্বিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে চরম এক উত্তেজনা বিরাজ করছে।মার্কিন সেনাদের ওপর চালানো এই হামলার জেরে ইরানে পাল্টা হামলা হলে মার্কিন মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং ইসরায়েলের হাইফা শহর ধ্বংস করার জন্য হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইআরজিসি)।
গতকাল (৮ জানুয়ারি) ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইআরজিসি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ওই বার্তায় আইআরজিসি হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, ইরানের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের হামলা হলে দুবাই এবং হাইফায়ে ব্যাপক হামলা চালানো হবে।
তারা আরও বলেছে, ইরানে কোনো রকম হামলা হলে যে দেশ মার্কিনিদের জায়গা দেবে, তাদের ওপরেও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের এই বিপ্লবী প্রতিরক্ষা বাহিনী।
আইআরজিসির বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা ছিল সোলেমানি হত্যার বদলায় কেবলমাত্র প্রথম ধাপ। মার্কিন সেনাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড়া হবে না। মধ্যপ্রাচ্য হতে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হলে তারা আরও হামলার শিকার হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
এদিকে এদিন এক টুইট বার্তায় ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির অন্যতম উপদেষ্টা হেসামউদ্দিন আশেনা জানিয়েছেন, (ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সামরিক পদক্ষেপকে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ দিয়েই মোকাবেলা করা হবে।’
উল্লেখ্য, ইরানি কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানির ‘গুপ্তহত্যা’র পর বিশ্বের পরিস্থিতি যেনো পাল্টে গেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা শুরু করেছে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে সমগ্র বিশ্বজুড়ে যেনো এক যুদ্ধভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।