দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা হোন্ডা চালান তারা ভালো জানেন বাজাজের জনপ্রিয় বাইক পালসার। এই সিরিজে বেশ কয়েকটি মডেল জনপ্রিয়। এর মধ্যে জনপ্রিয় মডেল হলো ১৫০ সিসির মডেল।
বাংলাদেশে ১৫০ সিসির সেগমেন্টই খুব বেশি জনপ্রিয়। কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে ১৩৫ সিসির পালসার পাওয়া যেতো। তবে বর্তমানে আর পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও ভারতে ১২৫ সিসির পালসার এখনও বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ১৮০, ২২০ সিসির পালসারও পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫০ সিসির পালসারের ৩টি সংস্করণ বিক্রি হচ্ছে। এগুলো হলো ১৫০ সিসির নিয়ন, ১৫০ সিসির সিঙ্গেল ডিস্ক ভার্সন ও ১৫০ সিসির ডাবল ডিস্ক ভার্সন। এই তিন বাইকটিতেই একই ইঞ্জিন অর্থাৎ ১৫৯ সিসির ডিটিএসআই ইঞ্জিন বিদ্যমান। শুধুমাত্র ১৫০ সিসির ডাবল ডিস্ক ভার্সনে কিকার বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩টি ভার্সনেই গ্রাফিক্স, ডিজাইন এবং খোটাখাটো কিছু পরিবর্তনও এসেছে।
এই তিন ভার্সনের বাইকের মধ্যে ভারতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যেমন নিয়ন, নিয়ন ভারতে পাওয়া যাচ্ছে এবিএস ভার্সনে। এতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও এটি এখন বিএস সিক্স ভার্সনেও পাওয়া যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে নিয়ন পাওয়া যাচ্ছে বিএস ফোর ভার্সনে।
অপরদিকে পালসারের ক্লাসিক মডেলটি হলো ১৫০ সিসির। এইটিতে রয়েছে সিঙ্গেল ডিস্ক। বর্তমানে বাংলাদেশে এই বাইকটির বিএস ৪.৫ ভার্সনও পাওয়া যাচ্ছে। এই ভার্সনে ইঞ্জিন গার্ডও দেওয়া হয়েছে। গ্রাফিক্সেও আনা হয়েছে বেশ পরিবর্তন। অপরদিকে ভারতে ১৫০ সিসির ক্লাসিক ভার্সনটি পাওয়া যাচ্ছে বিএএস সিক্স ইঞ্জিনে। এর ইঞ্জিনে রয়েছে এসি লাইন। যে কারণে ইঞ্জিন সব সময় ঠাণ্ডা থাকবে। তাছাড়াও এটি এখন ভারতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএসেও পাওয়া যাচ্ছে।
আমাদের দেশের পালসারের ক্রেজি ভার্সন ১৫০ টুইন ডিস্ক বা টিডি। এই ভার্সনে কিকার নেই। নেই চেইন কভারও। মিটার কনসোলেও আনা হয়েছে বেশ পরিবর্তন। অপরদিকে মিটারের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারে দেওয়া হয়েছে ব্লু টোন। ক্লিক অন হ্যান্ডেলবারেও আনা হয়েছে কিছুটা পরিবর্তন। তাছাড়াও এর সামনের সাসপেনশন আগের চেয়েও মোটা করা হয়েছে। আর সিট দেওয়া হয়েছে স্প্লিট। গ্রাব রেইলেও রয়েছে স্টাইলের ছোয়া। ভারতে এই বাইকটি সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ও এফআই ইঞ্জিনেও পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বাজাজের অনুমোদিত ডিলার হলো উত্তরা মোর্টস লিমিটেড। নতুন ভার্সনের পালসার বাংলাদেশে কবে নাগাদ আসবে সে সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।