দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন যে, ২০২১ সালে দেশের সবার জন্যই ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। সেইসঙ্গে এ বছরের মধ্যে আইসিটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানও হবে।
গতকাল (শনিবার) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর’ শীর্ষক এক সংবাদ সংম্মেলনের আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
এতে করে ১২ বছরে নানামুখী উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে ওঠা , অর্জন এবং ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার বিশদ উপস্থাপনা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সাল হতে বিগত ১২ বছরে আইসিটি খাতে ১৫ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সম্ভাবনা কাজে লাগাতেই সরকার দক্ষ মানুষ তৈরির ওপর বেশি জোর দিয়েছে। ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্লকচেইন, রোবোটিকস, এআই, এআর, ভিআর, ক্লাউড কম্পিউটিং, থ্রিডি প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিও গড়ে তোলা হচ্ছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত এক যুগ ধরে আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ব্যাকবোন তৈরি হয়েছে, যা প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণও ঘটিয়েছে। দেশের ৩ হাজার ৮শ’টি ইউনিয়ন এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্যই ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে। করোনার মধ্যেও গত ১০ মাসে ই-কমার্সে ১ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আইসিটি ব্যাকবোন তৈরি হওয়ার কারণে করোনা মহামারিকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস-আদালত, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভবপর হয়েছে। পোস্ট কোভিড-১৯ পরিকল্পনা করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এই সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর সামি আহমেদ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।