দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি ওজন কমাতে আমরা অনেকেই প্রতিরাতে রুটি খেয়ে থাকি। তবে আসলেও কী রুটি আমাদের উপকার করছে নাকি ক্ষতি? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস অনেকের নেই। সেইসঙ্গে শীতকালে রুটি খাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যায় অনেকের মধ্যেই। ভাত খেলে শিরশিরানি ভাব কিংবা সেই সঙ্গে আলসেমি ঘিরে ধরে, তাই ভাত থেকে দুরে থাকতে চান অনেকেই। কারণ হলো অনেকেই মনে করেন রুটি খেলেই সুস্থ থাকতে পারেন তারা। সক্কাল সক্কাল পেট পরিষ্কারও ভালো হয়ে থাকে অনেকের। তবে এই রুটি রাতের বেলা খেলে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসার আশঙ্কাকেও একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
রুটি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে এমন কিছু সমস্যা হতে পারে যা আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতিও করতে পারে।
গমের তৈরি খাবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রাতে রুটি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র তাই নয়, রোগা হওয়ার জন্য রুটি খাওয়ার অভ্যাস করেন অনেকেই। মনে রাখবেন, রুটি খেলে আমাদের ত্বক অনেকটা কুচকে যেতে পারে। এমনকি ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে রুটি খাওয়ার কারণে। এছাড়াও গমের তৈরি খাবার বেশি পরিমাণ খেলে মাথার চুল ঝরে যেতে পারে।
প্রতি রাতে রুটি খেলে মানসিক অবসাদ এবং ডিপ্রেশনও বেড়ে যেতে পারে। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
রুটি হজম করার ক্ষমতা সকলের এক রকম হয় না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। রাতে রুটি খেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে। অসুস্থ বোধ করতে পারেন অনেকেই। তাই আপনার জন্য রাতে রুটি খাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা, তা নিয়ে ডায়েটেশিয়ানের কাছ থেকেই পরামর্শ নিন।
তবে যদি আপনার শরীর রুটির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়, ফিট চেহারার জন্য একেবারেই আদর্শ। রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই রুটি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয় না। শরীরকে ফিটও রাখে। রুটিতে যেহেতু ফ্যাট থাকে না, তাই রুটি খেলে ফ্যাট অর্থাৎ চর্বির আধিক্য হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
শরীর গঠনে যে সকল ভিটামিন এবং খনিজের দরকার পড়ে তার সিংহভাগই রুটিতে থাকে। তাই প্রতি রাতে রুটি খেলে সেগুলি শরীরে সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
তাই আপনার শরীর বুঝে এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতি রাতে রুটি খাওয়ার বিষয়টি আপনি নির্ধারণ করুন। যাতে আপনার শরীরে কোনো রকম প্রভাব না ফেলে। আপনি সুস্থ্য থাকতে পারেন সেদিকটা আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।