দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে দিন দিন। তবে তারপরও থেমে নেই শুটিং পাড়ার কাজ। আসছে কোরবানী ঈদের জন্য অন্তত ৪শ’ নাটক নির্মাণ হচ্ছে। যে কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
উত্তরার সব কটি শুটিং হাউসই কমবেশি গমগম। ১৩ নম্বর সেক্টরে আপন ঘর–এ শুটিং করছেন মোশাররফ করিম। ১০ নম্বরে আফরান নিশো। তাঁর পাশেই ব্যস্ত অপূর্ব এবং মেহ্জাবীন চৌধুরী। পুবাইলের শুটিংবাড়িগুলোতেও রয়েছে একই চিত্র। সেখানে ব্যস্ত রয়েছেন জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরীরা। এগুলো সবই ঈদের নাটক এগুলোর শুটিং চলছিলো ১৬ জুন। তারকা ও শুটিংবাড়িগুলোর এই ব্যস্ততায় নাট্যাঙ্গনে ফিরেছে যেনো স্বস্তি। টেলিভিশন অনুষ্ঠান বিভাগ এবং প্রযোজকসূত্রে জানা যায়, কোরবানী ঈদের জন্য চার শতাধিক নাটকের নির্মাণকাজ চলছে।
অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা গত তিনটি ঈদ ঘরে বসেই কাটান। করোনায় একের পর এক বাতিল হয় শিডিউল। কয়েকজন অভিনয়শিল্পী সতর্কতা মেনে শুটিংও করেছেন, তবে কাজের সেই প্রাণখোলা পরিবেশ একেবারেই ছিল না। এবারের ঈদের আগে সেই আগের চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে, ফিরছে আগের অবস্থায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত শুটিং করবেন অনেকেই। সজল, শ্যামল মাওলা, তৌসিফ, জোভান, মনোজ প্রামাণিক, তানজিন তিশা, তাসনুভা তিশা, তাসনিয়া ফারিণ, কেয়া পায়েলসহ একাধিক শিল্পী এখন নিয়মিত উত্তরা-পুবাইলে শুটিং এ অংশ নিচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকলে তাঁদের কারও কারও ৪০টি, কারও ১৫টির অধিক নাটক এই ঈদে বিভিন্ন টেলিভিশন এবং ইউটিউবে প্রচারিত হবে।
আগামী ঈদে এনটিভিতে ২৩টি, বাংলাভিশনে ৪৭টি, আরটিভিতে ৪৭টি নাটক প্রচারিত হতে পারে। নাটক প্রচার করে এই ধরনের যতো চ্যানেল রয়েছে, সব কটি চ্যানেলই এবার এই কোরবানী ঈদে নাটক প্রচার করবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।