দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনায় আমাদের বা বলা যায় বিশ্ববাসীদের যে ক্ষতি হয়েছে তার পুরোটা একখানে করলে যে ক্ষতি হয়েছে তার সিংহভাগই ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের। দয়া করে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিন।
শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা কখনও পূরণ হবার নয়। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপি অনেক ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অনেক মানুষ গরীব হয়ে গেছেন। অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন। অনেকেই নিজের শেষ সম্বল সম্পদটুকু বিক্রি করে দিয়ে নি:শ্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরও বলা যাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
হয়তো কেও কেও বলতে পারেন অনলাইেনে লেখাপড়া চলছে। কিন্তু অনলাইনে যা হচ্ছে তা বলার বাইরে। অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করছে না। তারা যেভাবেই হোক ফাঁকি দিচ্ছে অথবা তেমন কিছুই শিখতে পারছে না। তারা বখে যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পুরো জাতির ভবিষ্যত নাগরিকরা। আর আমরা এমন পরিস্থিতি বসে বসে দেখছি। আর কতোদিন এই অবস্থা চলতে থাকবে?
গত দেড় বছরে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থেকে যেমন বখে যাচ্ছে। আবার নানা ধরনের হীনমন্যতায় ভুগছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যত নাগরিকরা নানা ফাস্টেশনে ভুগবে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে যতো দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
যে সব প্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকতো সেগুলো সপ্তাহে শুধুমাত্র শুক্রবার বন্ধ দিয়ে সপ্তাহে ৬দিন ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে একদিন পর পর অর্থাৎ এক গ্রুপ ক্লাস করবে শনি, সোম, বুধ। আরেক গ্রুপ ক্লাস করবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। এভাবে অর্ধেক আসনে ক্লাস নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নিয়ে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিন।
দয়া করে আর বিলম্ব না করে এখনই সিদ্ধান্ত নিন। করোনা ভাইরাসের এই সময় যেহেতু সবকিছুই খোলা রয়েছে। সেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। অন্তত একবার খুলে দিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তাহলে যে কোনো সময় বন্ধ করেও দেওয়া যাবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন দয়া করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবার খুলে দিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।