দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৫ আগস্ট ২০২২ খৃস্টাব্দ, ২১ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৬ মহররম ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদের ছবিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদ থেকেই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছিলো।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টিয় ৫৭০ সালে। এর মাত্র ৫০ বছর পরই ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আসে ইসলাম! উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে শুরু হয় এর যাত্রা!
বিভিন্ন গবেষণা ও প্রাপ্ত শিলালিপির কারণে এমন দাবিই জোরালো হয়েছে। এতে দেখা যায়, ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম মসজিদটিও নির্মিত হয় এই জেলারই পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ‘মজেদের আড়া’ নামক গ্রামে। ১৯৮৭ সালে পঞ্চগ্রামে জঙ্গল খননের সময় প্রাচীন এই মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
এর একটি ইটে কালেমা তাইয়্যেবা এবং ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। এ থেকেই অনুমান করা হয়, মসজিদটি হিজরি ৬৯ অর্থাৎ ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে স্থাপন বা সংস্কার করা হয়। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসূল (সা.) এর মামা, মা আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০ হতে ৬২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)।
অনেকেই অনুমান করেন, পঞ্চগ্রামের মসজিদটিও তিনিই নির্মাণ করেন যেটি ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কার করা হয়। দেশের প্রথম এবং প্রাচীন এই মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট। এই মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটি কাতারের জন্য ৪ ফুট প্রস্থ জায়গা। এই মসজিদের চার কোণে রয়েছে অষ্টকোণ বিশিষ্ট স্তম্ভ। ধ্বংসাবশেষ থেকে মসজিদের চূড়া এবং গম্বুজ পাওয়া যায়।
মতিউর রহমান বসুনিয়া রচিত ‘রংপুরে দ্বীনি দাওয়াত’ গ্রন্থেও এই মসজিদের বিশদ বিবরণ রয়েছে।‘দেশে ইসলাম প্রচার করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজী’ এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত থাকলেও এসব তথ্য প্রমাণ করে যে, এর অনেক আগেই এদেশে ইসলাম প্রচারিত হয়েছিলো।
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজীর বাংলা বিজয়ের প্রায় ৬০০ বছর পূর্বেই সাহাবীদের দ্বারা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। প্রথম মসজিদও নির্মিত হয় সেই সময়। সূত্র: দেশী বার্তা/ফেসবুক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।