দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে গত শুক্রবার শত শত লাশ পাওয়া যায়।
এই সংখ্যা ২০০ হতে ৫০০ পর্যন্ত হতে পারে বলে দেশটির অনেকেই দাবি করেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস এবং ডনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিশাতর হাসপাতালের মর্গ থেকে শত শত লাশের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তানের জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় সরকারের পক্ষ হতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, নিশাতর হাসপাতালের ছাদের কক্ষে কয়েক ডজন ব্যক্তির পচা লাশ পাওয়া যায়। তাছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন খবরে বলা হয়, একই ছাদ থেকে মানুষের শরীরের শত শত অঙ্গ প্রত্যঙ্গও উদ্ধার করা হয়। এইসব রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ হতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তাছাড়াও ঠিক কতোজনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারও কোনো কিছু জানানো হয়নি।
লাহোর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরের ওই হাসপাতালটির মরদেহ নিয়ে কেও বলছেন, এই সংখ্যা ২০০, কারও কারও দাবি, সংখ্যাটি ৫০০–এর বেশি হতে পারে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক জামান বলেছেন, ‘আমি নিশাতর হাসপাতাল পরিদর্শনে ছিলাম। এই সময় এক ব্যক্তি আমার কাছে আসেন ও বলেন যে আপনি যদি ভালো কিছু করতে চান তাহলে মর্গে যান ও চেক করুন।’
তারিক জামান আরও জানান, যখন তিনি ওপরে যান তখন সেখানকার স্টাফরা ছাদের দরজা খুলতে আপত্তি জানান। তখন আমি বলি আপনারা যদি না খুলেন তাহলে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে যাবো। তারপর যখন দরজা খোলা হলো ও আমরা ভেতরে ঢুকলাম সেখানে অন্ততপক্ষে ২০০ লাশ শোয়ানো ছিল। গলিত এইসব লাশ ছিল নারী এবং পুরুষের।
এইসব লাশ এখানে রাখার কারণ জানতে চান তারিক। তাকে সেইসময় চিকিৎসকরা জানান, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার উদ্দেশে এইসব রাখা হয়েছে। এই নিয়ে পাঞ্জাব সরকার ৬ জনের একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে।
মুলতানের ওই হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মরিয়ম আশরাফ এক ভিডিও বার্তায় জানান, হাসপাতালে কীভাবে অজ্ঞাত এবং দাবিহীন মরদেহগুলোর চিকিৎসা করা হয় তার ব্যাখাও দেন। কীভাবে মরদেহগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় তাও তিনি জানান।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।