দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্যগুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়াতে বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। তাহলে কাদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলাটা জরুরি?
মাঝে-মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই, তবে গ্রীষ্মে উষ্ণতার পারদ তারপরও কমেনি। ঘরে ফ্যান বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের আবহে থেকে বোঝা না গেলেও, বাইরে বেরোলেই গরমের আঁচ বোঝা যায়। গরমে তেষ্টা মেটাতে ও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে অনেকেই চুমুক দেন ডাবের পানিতে। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি দেহে খনিজ পদার্থের ভারসাম্যও বজায় রাখতে সহায়তা করে এই ডাবের পানি। তবে স্বাস্থ্যগুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়ার বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। কাদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলাটা জরুরি?
# ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। এই অতিরিক্ত সোডিয়াম অনেক সময় বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। সোডিয়ামের পাশাপাশি ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম। যা আবার কমিয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। যে কারণে যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডাবের পানি আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
# ডাবের পানি ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়ামের বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ থাকে। তাই যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে তাই খনিজ লবণের ভারসাম্য বিগড়েও যেতে পারে অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে। অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে হতে পারে ‘হাইপারক্যালিমিয়া’ও। পটাশিয়াম পরিশোধনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই কিডনির রোগীদের ডাবের পানি পান করার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
# যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ডাবের পানি পান করা উচিত কি না, তা নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হলে ডাবের পানি শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এক কাপ ডাবের পানিতে প্রায় ৬.২৬ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে। যা রক্তের শর্করার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তোলে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।