দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারারাত রেখে দেওয়া পানির মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। যা পানিতে থাকা পিএইচের মাত্রা তখন কমিয়ে দেয়।
শরীরের যে কোনও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া দরকার। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আবার শরীর ভালো রাখতে বাসি পানি খেয়ে থাকেন। রাত থেকে বোতল কিংবা গ্লাসে রেখে দেওয়া পানি সকালে উঠে খালি পেটে খেলে আদৌ কোনও উপকার পাওয়া যায়?
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, তাৎক্ষণিক কল কিংবা ফিল্টার থেকে ভরা পানি কোনও বিকল্প হতে পারে না। রাত থেকে পানি রেখে দিলে পানির স্বাদ কিছুটা পাল্টে যেতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সারারাত রেখে দেওয়া পানির মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। যা পানিতে থাকা পিএইচের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। যে কারণে পানির স্বাদও পাল্টে যায়। যদিও যথাযথ গবেষণা ছাড়া বাসি পানি খাওয়ার প্রভাব শরীরে ভালো নাকি মন্দ, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে তেমন কিছুই বলা সম্ভব নয়।
রাত থেকে ধরে রাখা পানি খেলে কী ক্ষতি হতে পারে?
প্লাস্টিকের যে পাত্রে আপনি পানি ধরে রাখছেন, সেখান থেকে ওই যৌগগুলো পানির মধ্যে সারারাত ধরে মিশতে থাকে। তৎক্ষণাৎ কিছু না হলেও দীর্ঘদিন ধরে এমনটি হতে থাকলে, এর ফল উল্টো হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন পুষ্টিবিদরা।
পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
বাসি পানি না খেয়ে কল কিংবা ফিল্টার থেকে পানি ভরে যখন ইচ্ছে খাওয়া যেতে পারে। রাতে শোয়ার অন্তত পক্ষে ঘণ্টা দুয়েক আগে পানি খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাত থেকে যে পাত্রে পানি ধরে রাখাছেন, সকালে উঠে সেই পাত্র থেকে পানি না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।