দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খারাপ অভ্যাস শিশুর মধ্যে জাঁকিয়ে বসার পূর্বেই বাবা-মায়ের নিজেদের আচরণেও পরিবর্তন আনাটা জরুরি। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে বদল আনতে হবে বাবা-মাকে।
অনেকেই মনে করেন যে, সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে হলে অভিভাবকদেরও সংযত হতে হয়। কারণ হলো, স্কুল-কলেজ থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পেলেও প্রাথমিকভাবে মা-বাবাকে দেখেই তাদের মধ্যে সহবত সৃষ্টি হবে। স্বাভাবিকভাবেই মা-বাবা যেমন ব্যবহার করেন, যেমনিভাবে কথা বলেন, শিশুরাও সেই একই ভাবধারা আত্মস্থ করার চেষ্টা করে থাকে। তাই অভিভাবকরা যদি সতর্ক না হোন, সেই ক্ষেত্রে সন্তানের মধ্যে আপনার কিছু খারাপ অভ্যাস জাঁকিয়ে বসতে পারে। তাই বাড়িতে ছোট সদস্য থাকলে আগে থেকেই কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক হতে হবে আপনাদের।
চিৎকার করা
পরিবারের কারও উপর হুটহাট চিৎকার করবেন না। শিশুরা এই স্বভাব চট করে আত্মস্থ করে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোন কিংবা টেলিভিশনে এমন উত্তেজক কোনও অনুষ্ঠানও যেনো তারা না দেখে, সেই দিকেও নজর রাখতে হবে আপনাদের।
আলস্য
আপনি যদি সারাক্ষণ শুয়েবসে, টেলিভিশন দেখে সময় কাটাতে থাকেন, বাড়ির খুদে সদস্যটিও সেই অভ্যাসেই বড় হতে থাকবে। সুস্থ জীবনযাপন করতে যা যা করা দরকার, ছোট থেকে তেমন অভ্যাস করাতে না পারলেই ভবিষ্যতে তাদেরই সমস্যায় পড়তে হবে।
নাকে আঙুল দেওয়ার বদঅভ্যাস
কথায় কথায় নাকে আঙুল দেওয়ার স্বভাব রয়েছে অনেকের মধ্যে। ছোটদের মধ্যেও প্রায়ই দেখা যায় এটি। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। বাড়ির বড়দের কাওকে দেখেই এই অভ্যাস শিশুদের মধ্যে গড়ে উঠতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস
ছোট থেকেই যদি সন্তানরা মা-বাবাকে অস্বাস্থ্যকর খেতে দেখে, তাহলে তাদের মধ্যেও সেই ধরনের একই অভ্যাস গড়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, কৈশোরে বেশির ভাগ ছেলে-মেয়ের মধ্যে ধূমপানের মতো অভ্যাসও কখনও কখনও বড়দের দেখেই শুরু হয়।
বড়দের সম্মান করা
বাড়িতেই হোক কিংবা বাড়ির বাইরেই হোক, বয়সে বড় যে কোনও মানুষকে সম্মান করা প্রাথমিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। তাই সন্তানের মধ্যে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে গেলে অভিভাবকদেরও এইসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে তারা ঠিক সেইভাবেই গড়ে উঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।