দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সমুদ্রের প্রবাল রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যতিক্রমধর্মী কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে!
তবে এটি আর দশটি সাধারণ কনসার্টের মতো মোটেও নয়, কারণ হলো এটি আয়োজন করা হয়েছিলো সমুদ্রের তলদেশে! শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টি কিন্তু সত্য। ফ্লোরিডার একটি সংরক্ষিত জলসীমায় এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিলো।
বাদ্যযন্ত্রের সুরে তাল মিলিয়ে এই কনসার্টে গাওয়া হয় বিশ্বখ্যাত রক ব্যান্ড বিটলসের গান ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ এবং জনপ্রিয় গায়ক জিমি বাফেটের ‘ফিনস’। সংরক্ষিত এই জলসীমার নাম হলো ‘ফ্লোরিডা কিস ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুয়ারি’। জানা যায়, ১৯৯০ সালে ৯ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে, যার বিশাল জায়গাজুড়েই রয়েছে প্রবালপ্রাচীর।
ব্যতিক্রমধর্মী এই কনসার্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য লোয়ার কিস আন্ডারওয়াটার মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’। অপর একটি বিষয় যা এই কনসার্টে বৈচিত্র্য এনে দিয়েছে, আর তা হলো এতে অংশ নেওয়া গায়ক এবং বাদকদের সাজসজ্জা। হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দ্য লিটল মারমেইড’ এর আদলে সেজেছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কনসার্টটির ভিডিওতে দেখা গেছে, সাগরের তলদেশে গিটার এবং উকুলেলেসহ নানা বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন কয়েকজন। আর আরেকজন গাচ্ছেন গান। তাদের অনেকেই শরীরে হরেক রঙের লেজ এবং পাখা লাগিয়ে সেজেছেন মৎস্যকন্যা। সেইসঙ্গে পিঠে বাঁধা রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। চারপাশে সাগরতলের এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ।
পরিবেশ রক্ষায় আয়োজিত এই কনসার্ট উপভোগ করেন শত শত সাঁতারু। স্থানীয় রেডিও স্টেশন ১০৪.১ এফএমে এটি সম্প্রচারও করেছে। পানির নিচে গানগুলো যেনো শোনা যায়, সে জন্যই স্থাপন করা হয় বিশেষ এক ধরনের ওয়াটারপ্রুফ স্পিকার।!
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org