দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাইটানিক সিনেমার কথা প্রায় সবার মনে আছে। টাইটানিক সিনেমার সেই আসাধারণ জুটি জ্যাক-রোজ চরিত্র দুটি আজও দর্শকদের হৃদয়ে রোমান্স সৃষ্টি করে। এবার টাইটানিকের নায়িকার পোশাক এবার নিলামে উঠলো।
হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী কেট উইনস্লেট এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এই দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯১২ সালের ১৩ এপ্রিল ডুবে গিয়েছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ টাইটানিক। তা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ হয়। যে সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর। এখনও টাইটানিক সিনেমাটি দর্শকের সামনে এলে সেটি উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সেই টাইটানিকের নায়িকা রোজ অর্থাৎ কেট উইন্সলেটের পরা একটি ওভারকোট নিলামে তোলা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, টাইটানিক সিনেমায় অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট অন-স্ক্রিন চরিত্র ‘রোজ’-এর ভূমিকায় অভিনয়ের সময় পরা একটি ওভারকোট আমেরিকার নিউ জার্সির নিলামকারী সংস্থা গোল্ডিন অনলাইনে নিলাম করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কেন গোল্ডিন জানিয়েছেন যে, ওভারকোটটির দাম একশো হাজার ডলার অতিক্রম হয়ে যাবে।
জানা গেছে, ওভারকোটে গোলাপি উলের উপর কালো এমব্রয়ডারি করা হয়। যা ডিজাইন করেছিলেন ডেবোরা লিন স্কট। স্কটের ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে জে পিটারম্যান কোম্পানি এই কোটটি তৈরি করেছিলেন। টাইটানিকের জন্য পোশাক ডিজাইন করে স্কট একাডেমি পুরস্কারও পেয়েছে।
১১ আগস্ট রাতে নিলাম শুরু হওয়ার পরই ৫ জন এতে অংশ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩৪ হাজার ডলার। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই নিলাম। যে বেশি দাম দিতে পারবেন, তারই সংগ্রহে যাবে এই ওভারকোটটি।
উল্লেখ্য, টাইটানিকই হলো প্রথম সিনেমা যে সিনেমা কিনা প্রথম বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিত্রম করেছিল। যা বক্স অফিসে ১.৮৪ বিলিয়ন ডলার আয়ও করেছিল। সিনেমাটি ১৪টি বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা পোশাক ডিজাইনের জন্য অস্কার পান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org