দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৈনন্দিন চলাফেরার পথে, পত্র-পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সকলেই কম বেশি নানা ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। বিশেষ করে পাসওয়ার্ড। এটি কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?
বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জালিয়াতির পদ্ধতিও পরিবর্তন করে ফেলেছে প্রতারকরা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আমরা নিজেদের সুবিধার মতো পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি নিজেদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য। বর্তমানে বেশিরভাগ জালিয়াতি লক্ষ করা যাচ্ছে এই অ্যাকাউন্টগুলো নিয়েই। আমাদের দেওয়া খুব সাধারণ পাসওয়ার্ড খুব সহজেই হ্যাক করে ফেলে প্রতারকরা তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে।
নর্ডপাসের একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, মানুষ পাসওয়ার্ড মনে রাখার সুবিধার জন্য এমন সহজ কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন, যেটি প্রতারকরা খুব সহজেই হ্যাকও করতে পারে। সবচেয়ে দুর্বল পাসওয়ার্ড হিসাবে যেটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, সেটি হলো ১২৩৪৫৬। সমীক্ষায় দেখা যায় যে, অনেক মানুষ নিজেদের পাসওয়ার্ডের জন্য এই নম্বর সিরিজটিকেও বেছে নেন। এই গবেষণাটিতে ২৫টি সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড হাইলাইট করেছে নর্ডপাসের সমীক্ষকরাও। সেগুলো হলো :
(1)123455
(2) Admin
(3)12345678
(4)1238456789
(5)1234
(6)12345
(7) password
(8)123
(9)Aa123456
(10) 12345678901
(11) unknown
12)1234567
(13)123123
(14)111111
(15) password123
(16) 12345678910
(17) 000000
(18) admin123
(19) ********
(20) users
(21) 1111
(22) P¦ssw0rd
(23) Main
(24) 654321
(25) quarty
বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়ার জালিয়াতি থেকে নিজের অ্যাকাউন্টটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। আপনার পাসওয়ার্ডটিতে কম করে হলেও ২০টি অক্ষর ব্যবহার করুন, পাসওয়ার্ডটিতে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে মিশিয়ে রাখুন, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নগুলো ব্যবহার করতে পারেন। পাসওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় আপনার জন্মদিন, আপনার নাম কিংবা খুব সাধারণ শব্দ এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও আপনার পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অপরিচিত লোকদের সঙ্গে আপনার পাসওয়ার্ড শেয়ার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org