দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অভিনেত্রী সানি লিওন পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার পরীক্ষা দিচ্ছেন। অন্তত পুলিশের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সেটিই বলছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে ছাপানো হয় এই বলিউড অভিনেত্রীর ছবি!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ছবি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রবেশপত্রে পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হযছে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড প্রমোশন বোর্ডের (ইউপিপিআরবি) ওয়েবসাইটে সানি লিওনের ছবি দিয়ে নিবন্ধন করা হয়। ইউপিপিআরবি শনিবার রাজ্যটির ৭৫টি জেলায় ২ হাজার ৩৮৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে।
ফর্ম অনুসারে দেখা যায়, সানি লিওনের পরীক্ষার কেন্দ্রটি ছিল কনৌজের তিরওয়া তহসিলের শ্রীমতি সোনেশ্রী মেমোরিয়াল গার্লস কলেজ। কনৌজ পুলিশের সাইবার সেল এই বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর প্রদেশ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশন বোর্ডের ওয়েবসাইটে কনস্টেবল পদের জন্য রেজিস্ট্রেশনে সানি লিওনের ছবি দেখা যায়। শনিবার ছিল কনস্টেবল পদের নিয়োগ পরীক্ষা। সেখানে দেখা যায়, অ্যাডমিট কার্ডে ছাপা হয় সানি লিওনের ছবি। তারপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ওই অ্যাডমিট কার্ডটি যার নামে, সেই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেননি। পরে যাচাই করে দেখা যায় যে, ওই অ্যাডমিট কার্ডটি আসলে নকল। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে মোবাইল নম্বরটি দেওয়া হয়, সেটি উত্তর প্রদেশের হলেও, ঠিকানা দেওয়া হয়েছে মুম্বাইয়ের।
রেজিস্ট্রেশনের সময় অভিনেত্রীর ছবি আপলোড করা হয়। অপরদিকে যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ডটি, তাকে তলব করা হয়। কনৌজ পুলিশের সাইবার সেল এই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের এই কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় শনিবার কমপক্ষে ১২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই ভুয়া পরীক্ষার্থী ছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org