দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছাত্র আন্দোনের পর আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগের পর ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করেছে। যে কারণে সড়কে আবারও শৃংখলা ফিরে এসেছে। চলাচলকারী যানবাহনের চালকরাও স্বস্থি অনুভব করছেন।
ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগের পর যেহেতু এখনও নতুন কোনো তত্বাবধায়ক সরকার আসেনি এবং বিভিন্ন থানায় হামলার কারণে পুলিশ বাহিনী কর্ম বিরতিতে চলে যায়। এরপর থেকে দেশে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে। বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে প্রায় প্রতিদিন।
আবার ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতেও অব্যবস্থা শুরু হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরিই অচল হয়ে গেছে। এমন এক অবস্থায় গত দুদিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন। কয়েক বছর আগেও শিক্ষার্থী মৃত্যুর পর তারা ট্রাফিক ব্যবস্থায় নামে। এবারও তারা রাস্তায় নেমেছেন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন। যদিও কিছু আনসার বাহিনীকে ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে ট্রাফিক ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটেছে। নগরের সড়কগুলো আবার যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
ছাত্ররা যে নতুন এক সন্ত্রাসমুক্ত, হিংসামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে এই পরিবর্তন এনেছেন সেটি আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে এই দেশটি একদিন দুর্নীতিমুক্ত শান্তিপূর্ণ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠবে। যা আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org