দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।

দেশপ্রেমের গল্পে নির্মিত ‘সোলজার’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করবেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং ঐশী দুজনেই। শুক্রবার নির্মাতা সাকিব ফাহাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এই তথ্য।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সোলজার’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে থাকছেন তানজিন তিশা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
নির্মাতা বলেছেন, ‘গল্পের প্রয়োজনেই অভিনয়শিল্পী নির্বাচন করা হয়েছে। ছোট পর্দার তানজিন তিশা তার প্রথম সিনেমায় কাজ করছেন আমাদের সঙ্গে। এটি আমাদের জন্যও আনন্দের। ঐশী ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাই দর্শকদের জন্য এটি হবে এক অনন্য জুটি।’
এই সিনেমাতে যুক্ত হয়ে ঐশীও বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনিও প্রত্যাশা করছেন যে, দর্শককে চমৎকার কিছু উপহার দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েই শোবিজে পা রাখেন ঐশী। তারপর তিনি কাজ করেছেন নাটক ও বিজ্ঞাপনে। সর্বপ্রথম তাকে সিনেমায় দেখা যায় ২০২১ সালে। ওই বছরই ‘মিশন এক্সট্রিম’ এবং ‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার।
ঐশীকে সর্বশেষ দেখা যায় আবু তাওহীদ হিরণের ‘আদম’ সিনেমায়। এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন ইয়াশ রোহান। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ওই ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর কিছুদিন বিরতিতে থাকলেও, ‘সোলজার’-এর মাধ্যমে আবারও ফিরতে যাচ্ছেন আলোচনায়। সেটিও আবার শাকিব খানের নায়িকা হয়ে।
গত ৫ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘সোলজার’ ছবির শুটিং। প্রকাশ হয়েছে সিনেমায় শাকিবের লুক। পরিচালক জানিয়েছেন, শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে তানজিন তিশা এবং ঐশীর ফার্স্ট লুক।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org