দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাথা ব্যথা সবার জন্যই কষ্টকর একটি রোগ। কেউ এ ব্যাথা সহ্য করতে পারেন না বা চায় না। মাথা এবং গলার বিভিন্ন পেশীতে অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে অথবা আবেগিক জনিত নানা কারণে দুশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যথা হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা থেকে বাঁচার ৭টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা প্রচুর কষ্টদায়ক হলেও এটি বড় ধরনের কোন রোগ নয়। অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটমল জাতীয় ওষুধ খেলেই মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যায় কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। প্রাকৃতিকভাবে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়গুলো জেনে নিইঃ
১) পিপারমেন্ট তেল ব্যবহার করুন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে – মাথা ব্যথায় আক্রান্ত কারো কপালের উপরের অংশে শতকরা ১০ ভাগ পিপারমেন্ট তেল লাগালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীনভাবে মাথা ব্যথা কমে যায় অতি দ্রুতই।
২) কফি, চা কিংবা এনার্জি ড্রিক্স গ্রহণ করতে পারেন। এইসব পানীয় প্রচুর ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। ক্যাফেইন মূলত ব্যথানাশক উপাদান। মাথাব্যথায় এইসব গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে মাথা ব্যথার প্রকোপ কমে যায়।
৩) খাদ্য গ্রহণে সচেতন হোন। যেসব খাদ্য মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলুন। খাবারের তালিকায় ক্যাফেইন, মাখন, রেডওয়াইন, চকলেট যুক্ত করুন।
৪) ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। গবেষণায় জানা গেছে, প্রতিদিন তিনবার ২৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে মাথা ব্যথা কমে যায়। ব্লাড শিরাকে রিলাক্স প্রদান করে ম্যাগনেসিয়াম, ফলে মাথা ব্যথায় এটি একটি কার্যকর ওষুধ। কাঠবাদাম, কলাতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে।
৫) মশলা যুক্ত ঝাল তরকারী গ্রহণ করুন। এই ধরনের খাদ্য মাথা ব্যথার কমার প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। অ্যাসপিরিন গ্রহণ করার চেয়ে ঝাল তরকারী গ্রহণ করলে বেশি ফল পাওয়া যায়। চিকেন কোর্মাতে এইধরনের উপাদান বেশি পরিমাণ থাকে।
৬) উইলো গাছের বাকল মাথা ব্যথার কমানোর জন্য খুবই উপকারী। হাজার বছর ধরে এই গাছের বাকল মাথা ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। এই সবে সালাসিন নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে যা অ্যাসপিরিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চা এর সাথে কিংবা গুড়া করে ট্যাবলেট বানিয়ে খেলে অতি দ্রুতই মাথা ব্যথা কমে যায়।
৭) প্রচুর পানি পান করুন। একটি গবেষণায় জানা গেছে, পানিশূণ্যতার কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। কারো প্রস্রাবের রঙ হলুদ হলে সে পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত সেটা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে তাঁর উচিত প্রচুর পানি খাওয়া এবং মাথা ব্যথা থেকে দূরে থাকা।
ছোট হলেও কোন রোগ কখনো অবহেলা না করা ভালো। মাথা ব্যথা হলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি উপরোক্ত করণীয়গুলো সম্পন্ন করা উচিত।
তথ্যসূত্রঃ নিউজসম্যাক্সহেলথ