দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক জীবাণু সাধারণ খাবারের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায়। যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে তাপ দিয়ে বা ঠাণ্ডা দিয়ে খাবার থেকে দূর করা সহজ। কিন্তু ভাইরাসের ব্যাপারটা অতোটা সহজ নয়। বেশ কিছু রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তারও কম তাপ মাত্রায় বেশ কিছু দিন জীবন ধারণ করতে পারে এবং তারপর সুবিধা অবস্থা পেলেই মানব দেহে রোগ ছড়ায়। এরমধ্যে জণ্ডিস ভাইরাসগুলো অন্যতম।
বাংলাদেশে জণ্ডিসের প্রবণতা মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। প্রতিবছর এই জণ্ডিস রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পানি বাহিত জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত জণ্ডিস।
আমাদের শহরগুলোতে সরবরাহ করা পানীয় জল ও পয়:নিষ্কাশনের পানি একাকার হয়ে জণ্ডিস জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে। এখন মানুষ কিছুটা সচেতন হচ্ছে। তারা ফুটানো পানি পান করছেন ও ফিল্টারের পানি পান করছেন। তাতেও যে জণ্ডিসের প্রকোপ খুব একটা কমছে তা নয়। এরমাঝে বিভিন্ন অসততা ও পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকার পরও আরও একটি বিরাট কারণ থেকেই যাচ্ছে।
আমাদের শহর ইদানিং গ্রামাঞ্চলেও বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীর মাঝে ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা রীতিমতো উম্মাদনায় পরিণত হয়েছে। এসবে আরও বিবিধ সমস্যাতো আছেই। আরও আছে জীবাণু বহন করার উপযুক্ততা। ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম যে তাপমাত্রায় প্রস্তুত করা হয়ে থাকে এবং সংরক্ষণ ও বহন করা হয় তা ব্যাকটেরিয়ার জন্য না হলেও বেশ কিছু ভাইরাস বেঁচে থাকা এবং তা থেকে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য উপযোগী।
আমাদের দেশে ব্যাপকহারে জণ্ডিসের বিস্তার ঘটাতে এগুলো সক্ষম। বিশেষ করে হেপাটাইটিস ‘এ’ হেপাটাইটিস ‘ই’। লোড সেডিং-এর কারণে এই ভাইরাস বেঁচে থাকা আরও সহজতর হয়। তাই আইসক্রিম ও ঠাণ্ডা পানীয় পান করার আগে ভালোভাবে ভেবে দেখা দরকার বা বাচ্চাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা একান্ত প্রয়োজন।